বাংলাদেশ থেকে ভারতে পাচারের আগেই ৩২৫ কেজি ইলিশ মাছ আটক করল ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ জেলা থেকে শনিবার এই বিপুল পরিমাণ ইলিশ মাছ আটক করে বিএসএফ। গ্রেফতার করা হয় এক পাচারকারীকেও।
রবিবার বিএসএফ এক বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে, বিএসএফের দক্ষিণবঙ্গ সীমান্তের ফারজিপাড়া সীমান্ত চৌকিতে কর্তব্যরত অ্যাডহক- ৯ ব্যাটালিয়নের জওয়ানরা ৩২৫ কেজি ইলিশ মাছ আটক করেছে। ভারতীয় বাজারে জব্দকৃত ইলিশ মাছের আনুমানিক মূল্য ৫,২০,০০০ রুপি। চোরাকারবারিরা মাছের এই বিশাল চালান বাংলাদেশ থেকে ভারতে আনার চেষ্টা করছিল।
বিএসএফ আরো জানিয়েছে, শনিবার বিএসএফ-এর গোয়েন্দা শাখা থেকে তথ্য পায় যে কিছু চোরাকারবারী ফারজিপাড়া সীমান্ত চৌকি এলাকা থেকে চোরাচালান চালাতে পারে। এ তথ্য পাওয়ার পরই ফারজিপাড়া সীমান্ত চৌকিতে কর্তব্যরত জওয়ানরা বিকাল ৩ টা নাগাদ দেখতে পায় সন্দেহভাজন এক চোরাকারবারী পাটের বান্ডিল নিয়ে বাংলাদেশের দিক থেকে মাতাভাঙ্গা নদী পার হয়ে ভারতে প্রবেশের চেষ্টা করছে। সৈন্যরা তৎক্ষণাৎ ইঞ্জিন বোটে করে চোরাকারবারিকে ধাওয়া করে তাকে ধরে ফেলে। এরপর সৈন্যরা পাটের বান্ডিল খুলে তাতে ২৯০ কেজি ইলিশ মাছ দেখতে পায়। মুর্শিদাবাদ জেলার জলঙ্গী থানার অন্তর্গত তালতলী গ্রামের বাসিন্দা ওই পাচারকারীর নাম নিতাই মন্ডল। জিজ্ঞাসাবাদে চোরাকারবারী জানায়, সে সীমান্ত পেরিয়ে মাছটি মুর্শিদাবাদের জেলারই তালতলী গ্রামের বাসিন্দা বাপন মন্ডলের কাছে হস্তান্তর করতে যাচ্ছিল। এই কাজের জন্য নিতাই কিছু রুপি পাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তার আগে বিএসএফ তাকে ধরে ফেলে।
অন্য একটি ঘটনায়, সীমান্ত চৌকি ফারজিপাড়া, অ্যাডহক- ৯ কোরের জওয়ানরা তাদের কর্তব্যরত এলাকা থেকে ৩৫ কেজি ইলিশ মাছ জব্দ করে।
জানা গেছে এই ইলিশ মাছ পদ্মা নদীর থেকে ধরা। আর সেই মাছই অবৈধভাবে পাচার করা হচ্ছিল ভারতে। জব্দকৃত মালামালসহ আটক চোরাকারবারীকে জেলার জলঙ্গীতে শুল্ক বিভাগের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার, ৭ সেপ্টেম্বর মুর্শিদাবাদ জেলার দয়ারামপুর সীমান্ত চৌকি এলাকা থেকে ১১৮ কেজি ইলিশ মাছ আটক করেছিল বিএসএফ। ভারতীয় বাজারে আটক ইলিশ মাছের আনুমানিক মূল্য ছিল ১,৪১,৬০০ রুপি।
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল