পশ্চিমবঙ্গে রেশন বন্টন ব্যবস্থায় দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেফতার হলেন রাজ্যটির সাবেক খাদ্য ও সরবরাহ দফতরের মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ওরফে বালু।
বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ছয়টা থেকে কলকাতার সল্টলেক বিসি-২৪৪ ও বিসি-২৪৫ নম্বর বাড়িতে দীর্ঘ তল্লাশি অভিযান ও জিজ্ঞাসাবাদের প্রায় একুশ ঘণ্টা পর শুক্রবার ভোর ৩.২৩ মিনিটের দিকে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে গ্রেফতার করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)- এর কর্মকর্তারা।
গত মন্ত্রিসভায় তিনি যখন এই দপ্তরের মন্ত্রী ছিলেন তখনই তার বিরুদ্ধে রেশন ব্যবস্থায় দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। দুর্নীতির অভিযোগ ওঠার পর ২০২২ সালে এই সম্পর্কিত একটি মামলাও করা হয়। যদিও নিজের ও দফতরের বিরুদ্ধে ওটা সব অভিযোগই এর আগে অস্বীকার করেছিলেন মন্ত্রী।
সম্প্রতি রেশন দুর্নীতি মামলায় বাকিবুর রহমান নামে এক রেশন ডিলারেকে গ্রেফতার করে ইডি। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেই বর্তমান বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের নাম উঠে আসে। এরপরই তার বাড়িতে অভিযান চালায় ইডি। কিন্তু ওই মামলায় মন্ত্রী একাধিক প্রশ্নের উত্তর এড়িয়ে যান বলেই অভিযোগ। আর এরপরই তদন্তে অসহযোগিতার অভিযোগে তাকে গ্রেফতার করা হয়। পরে কড়া নিরাপত্তার মধ্যে তাকে সল্টলেকের বাড়ি থেকে কাছেই সিজিও কমপ্লেক্সে ইডির আঞ্চলিক দফতরে নিয়ে আসা হয়।
মন্ত্রীর পাশাপাশি তার ব্যক্তিগত সচিব অমিত দে'র বাড়িতেও তল্লাশি অভিযান চালানো হয়।
ইডির দফতরে প্রবেশের সময় মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন, 'গভীর ষড়যন্ত্রের শিকার হলেন আমি। এটুকু বলে গেলাম। ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) খুব ভালো কাজ করেছে। তারা আমাকে শিকার করেছে।'
এদিকে মন্ত্রীর বাড়িতে তল্লাশি অভিযান চলাকালীন সময়েই বৃহস্পতিবার কেন্দ্র সরকার ও তদন্তকারী এজেন্সির বিরুদ্ধে তোপ দাগেন রাজ্যটির মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। কালীঘাটের বাড়ি থেকে সংবাদ সম্মেলন করে তিনি বলেন 'বালুর সুগারের রোগী। ও যদি মারা যায় তবে বিজেপি ও ইডির বিরুদ্ধে ইডি এফআইআর দায়ের করবো।'
বৃহস্পতিবার মন্ত্রীর বাড়িতে যখন ইডি তদন্ত চালাচ্ছিল ঠিক সেই সময় তার বাড়িতে মিষ্টি নিয়ে বিজয়া দশমী করতে আসেন বিধাননগর পৌরসভার চেয়ারম্যান সব্যসাচী দত্ত সহ কয়েকজন কাউন্সিলর। যদিও তাদের ভিতরে ঢুকতে বাধা দেয় কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা রক্ষীরা।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন