ঢাকা, সোমবার, ২৬ আগস্ট, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

কলকাতায় ‘মুজিব’ বায়োপিকের বিশেষ প্রদর্শন
দীপক দেবনাথ, কলকাতা

বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবন নির্ভর চলচ্চিত্র ‘মুজিব: একটি জাতির রূপকার’ ছবিটির বিশেষ প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে কলকাতায়। 

শুক্রবার (২৭ অক্টোবর) গোটা ভারতজুড়ে বিভিন্ন ভাষায় এই ছবিটি মুক্তি পেতে চলেছে। তার আগে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কলকাতার রাজডাঙ্গা মেইন রোডে অবস্থিত সিনেপোলিস অ্যাক্রোপোলিস মলের তৃতীয় তলায় মাল্টিপ্লেক্সে প্রদর্শিত হয় ‘মুজিব’ বায়োপিক। এ ছবিটিতে দেখতে উপস্থিত ছিলেন অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত, অভিনেতা অরিন্দম শীল, শান্তিলাল মুখার্জি, কলকাতাস্থত বাংলাদেশ ডেপুটি হাই কমিশনের কর্মকর্তারা।

ছবি নির্মাতা থেকে শুরু করে সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষ ও দুই দেশের সরকারকে কৃতজ্ঞতা জানিয়ে অভিনেতা আরেফিন শুভ জানান, ‘দর্শকদের কাছ থেকে সাড়া পেয়ে আমি আবেগ তাড়িত, আপ্লুত, আনন্দিত। আমার ধারণা এই ছবিটি বাংলাদেশের মানুষদের যতটা নাড়া দিয়েছে, এপার বাংলার মানুষকেও ঠিক সমান ভাবে নাড়াবে।’

এই ছবিতে অভিনয়ের প্রসঙ্গে নিজের অনুভূতির প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘প্রায় চার বছর এই ছবির সাথে লেগে ছিলাম। তাই নতুন করে আর কিছু বলার নেই, যা বলার ছবিতে বলেছি।’

নিজেকে এই চরিত্রে মানিয়ে নেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং পরিচালক শ্যাম বেনেগালের টিমকেও ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুর ব্যক্তিগত ও রাজনৈতিক জীবন নিয়ে আমাকে সবচেয়ে বেশি প্রস্তুত করেছেন।’ সপরিবারে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এটি একটি বর্বরোচিত ও নিন্দনীয় ঘটনা। 

অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পুরো ঘটনা যেভাবে আমাদের ইতিহাস জুড়ে রয়েছে...এমন একটি ছবিতে অভিনয় করেছেন আরেফিন শুভ। আমি খুবই গর্বিত। আমরা খুব ভালো বন্ধু। আমরা একসাথে কাজও করেছি। এরকম একজন ঐতিহাসিক চরিত্র ফুটিয়ে তোলাটা খুব সহজ কথা নয়। তার ওপর আমাদের খুব প্রিয় পরিচালক শ্যাম বেনেগাল, তিনি এই ছবিটির পরিচালনা করেছেন। তাই আমি খুব লাকি যে আজকে কলকাতায় ছিলাম। এত সুন্দর একটা সময়ের সাক্ষী হয়ে থাকতে পারাটাও বড় ব্যাপার। আজকে কলকাতায় এর প্রদর্শন হলো। আমি খুবই গর্বিত যে ওরা এরকম একটি কাজ করেছে। এটা একটা টিম এফোর্ট। আরেফিন শুভ নিজেও অনেক আত্মত্যাগ করেছে এই ছবিটা করার জন্য। মানুষও এত সুন্দরভাবে এই ছবিটাকে গ্রহণ করেছে সেটি অভূতপূর্ব।’

অরিন্দম শীল জানান, ‘বঙ্গবন্ধু আমাদের অত্যন্ত শ্রদ্ধেয় ও ভালোবাসার মানুষ ছিলেন। এমন একটি মানুষের জীবন কাহিনী নিয়ে পরিচালক শ্যাম বেনেগাল ছবি নির্মাণ করেছেন সেই ছবি নিয়ে আমার প্রচণ্ড আগ্রহ রয়েছে।’

এর আগে গত বুধবার মুম্বাইয়ে ভারতের জাতীয় জাদুঘরে বাংলা এবং হিন্দি উভয় ভাষায় সিনেমাটির বিশেষ প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে হাজির ছিলেন বলিউডের অভিনেতা নাসিরউদ্দিন শাহ, নতুন প্রজন্মের তারকা অদিতি রাও হায়দারি, সংগীত পরিচালক শান্তনু মৈত্র, সঙ্গীতশিল্পী শ্রেয়া ঘোষাল প্রমুখ।

ভারত ও বাংলাদেশের যৌথ প্রযোজনায় তৈরি এই ছবিটি। এতে খরচ হয়েছে প্রায় ৮৩ কোটি টাকা। ভারত এবং বাংলাদেশ দুই দেশেই বিভিন্ন সময় শুটিং হয়েছে। ছবিতে অভিনয় করেছেন দুই বাংলার একাধিক কলা কুশলীরা। 

বঙ্গবন্ধুর চরিত্রে অভিনয় করেছেন অভিনেতা আরেফিন শুভ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চরিত্রে রয়েছেন নুসরাত ফারিয়া। এছাড়া তাজউদ্দীন আহমদের চরিত্রে রিয়াজ এবং বঙ্গবন্ধুর স্ত্রী বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিবের চরিত্রে নুসরাত ইমরোজ তিশা, জুলফিকার আলী ভুট্টো চরিত্রে রজিত কাপুর, জেনারেল টিক্কা খানের চরিত্রে অভিনয় করেছেন জায়েদ খান, বঙ্গবন্ধুর পিতা শেখ লুৎফুর রহমান চরিত্রে চঞ্চল চৌধুরী।

অন্যান্য চরিত্রে অভিনয় করছেন খায়রুল আলম সবুজ, দিলারা জামান, সায়েম সামাদ, শহীদুল আলম সাচ্চু, প্রার্থনা ফারদিন দীঘি, রাইসুল ইসলাম আসাদ, গাজী রাকায়েত, তৌকীর আহমেদ, সিয়াম আহমেদ, এলিনা শাম্মী প্রমুখ।

বিডি-প্রতিদিন/বাজিত



এই পাতার আরো খবর