পর্যটন ব্যবসার আড়ালে মানব পাচার- এই অভিযোগের ভিত্তিতে একযোগে ভারতের আট রাজ্য ও দুইটি কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলে অভিযান চালিয়েছে দেশটির জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা 'ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি' (এনআইএ)।
বুধবার ভোর রাত থেকেই পশ্চিমবঙ্গ, ত্রিপুরা, আসাম, কর্ণাটক, তামিলনাড়ু, তেলেঙ্গানা, হরিয়ানা, পদুচেরি, রাজস্থান এবং জম্মু-কাশ্মীরের অন্তত ৫০টি জায়গায় এই অভিযান চালায় এনআইএ'এর কর্মকর্তারা। নির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতেই আন্তর্জাতিক মানব পাচারের সঙ্গে যুক্ত সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের বাড়ি, অফিসসহ অন্য এলাকায় রাজ্য পুলিশের সাথে নিয়ে এই অভিযান চলছে।
এনআইএ সূত্রের খবর, বুধবার ভোর রাত ২টার দিকে জম্মু-কাশ্মীরী ভাতিন্ডি থেকে আটক করা আছে জাফর আলম নামে এক রোহিঙ্গা মুসলিমকে। যদিও তদন্তকারীদের উপস্থিতি পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয় আরেক বিদেশি নাগরিক। পশ্চিমবঙ্গ থেকেও একজনকে আটক করা হয়েছে।
এদিন সকালেই বেঙ্গালুরুর কে.আর.পুরম, বেলান্দুর ও সোলাডেভানাহাল্লী এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৮ বাংলাদেশি নাগরিককে গ্রেফতার করে। গত কয়েক বছর ধরে অবৈধভাবে বেঙ্গালুরুতে বসবাস করছিল এই ৮ বিদেশি।
এর আগে গত মাসে ভারতের তামিলনাড়ুতে অভিযান চালিয়ে এক পাচারকারী ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে এনআইএ। ইমরান খান নামে ওই অভিযুক্ত ব্যক্তি দীর্ঘদিন ধরে গা ঢাকা দিয়েছিল। শ্রীলঙ্কা থেকে নাগরিকদের এনে ভারতের বেঙ্গালুরু ও ম্যাঙ্গালুরুতে পাচারের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন ইমরান ও তার সঙ্গীরা।
মানব পাচারের সঙ্গে আন্তর্জাতিক যোগের হদিশ পেয়ে বছর দুয়েক আগে এই মামলার তদন্তে নামে এনআইএ। ২০২১ সালের অক্টোবরে পাঁচ ভারতীয় নাগরিক- দিনাকরণ, কাশী বিশ্বনাথন, রাসুল, সন্থাম উশেন ও আব্দুল মোহিতুর বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করে তদন্তকারী সংস্থা। চলতি বছরের অক্টোবর পর্যন্ত এখনো পর্যন্ত এই মামলায় ১৩ জন অভিযুক্তকে আদালতে তোলা হয়েছে।
তদন্ত করে কর্মকর্তারা জানতে পারে বিভিন্ন মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে বিশেষ করে কানাডায় ভালো কর্মসংস্থানের প্রলোভন দেখিয়ে এদেরকে পাচার করে দেওয়া হতো।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল