হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক মাহবুবর রহমানের লেখা ‘কেওড়া জলে এক জীবন’ নামক গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর এলিফ্যান্ট রোডে কবিতা ক্যাফেতে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এই মোড়ক উন্মোচন করা হয়।
কবি সঞ্জীব পুরোহিতের প্রকাশনা সংস্থা ‘দাঁড় কাক’ থেকে গ্রন্থটি প্রকাশিত হয়েছে। মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক জাতিসত্তার কবি নূরুল হুদা।
এ ছাড়া উপস্থিত ছিলেন কবি সঞ্জীব পুরোহিত। সঞ্চালনায় ছিলেন ড. গোলাম মোস্তফা। এতে সংগীত পরিবেশন করেন অভিলাষ দাস, উত্তম ঘোষ, রায়হান সোহেল প্রমুখ।
মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানের আগে সংবাদমাধ্যমে পাঠানো এক লিখিত বক্তব্যে ‘দাঁড় কাক’ প্রকাশনীর সম্পাদক কবি সঞ্জীব পুরোহিত বলেন, ‘মাহবুবর রহমান আমাদের অনেকের কাছেই পরিচিত সজ্জন ও সংবেদনশীল মানুষ হিসেবে। চিকিৎসক হিসেবে তিনি আকাশচুম্বি জনপ্রিয়। হৃদরােগ বিশেষজ্ঞ হলেও চিকিৎসাকে তিনি যান্ত্রিক প্রকরণ হিসেবে দেখেন নি। দেখেছেন জৈবিক-মানবিক সংশ্লেষে জীবনের অনুষজ্ঞ হিসাব। এটা তার পেশা হয়েও পেশা নয়, বলা যায় ‘ব্রত’। মাত্র তিন বছর আগে যখন তার প্রথম গল্পগ্রন্থ বের হয়, তখন এক অস্বাভাবিক ঘটনা ঘটে। এক এক করে তিনটি সংস্করণ ফুরিয়ে যায়! প্রতিটি সংস্করণকে সেলিব্রেট করতে আমি নিজেই নতুন নতুন প্রচ্ছদ করি। অপর্ণা সেন সম্পাদিত ‘সানন্দা’ পত্রিকাসহ দেশের প্রধান প্রধান পত্রিকায় ছড়িয়ে যায় এ গ্রন্থের উষ্ণতা। এও রটে যায়, তবে কী তিনি পেশা হিসেবে লেখালেখিকে গ্রহণ করবেন।’
‘দেশের বরেণ্য অধ্যাপক, বুদ্ধিজীবীরা এ সাফল্যকে নানাভাবে অভিনন্দিত করেন। পরের বছর '১৯ সালে বের হয় লেখকের দ্বিতীয় গ্রন্থ ‘জন্মান্তর’। সেটিও অর্জন করে পাঠকপ্রিয়তা। ’২০ সালে প্রকাশিত হয় ‘হৃদপিণ্ডে হৃদরােগ’। বিশেষায়িত এ গ্রন্থ প্রণয়নের মাধ্যমে লেখক তার পেশাগত অভিজ্ঞতাকে ব্যবহার করেন কল্যাণের দিকে। এরপর শুরু হয় অতিমারি করােনা। বিয়ােগ চিহ্নে ভরে উঠে ভুগােলের এপাশ ওপাশ। আর্তনাদ, কান্না আর কিলাপের মিহি সুর ভারী করে তােলে বাতাসকে। একুশ আর বাইশের আহত বইমেলায় লেখক অনুপস্থিত থাকেন।’
বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ