পেটের মেদ ঝরাতে সবচেয়ে বেশি পরিশ্রম করতে হয়। শরীরের অন্যান্য অংশের মেদ যদি ১০ দিনে ঝরে তাহলেও টানা একমাসের কসরতে পেটের মেদ ঝরে না।
মানসিক চাপ যদি মাত্রা ছাড়াভাবে বাড়তে থাকে, প্রতিদিন যদি জাংক ফুড, বিরিয়ান খান সেই সঙ্গে কোনও রকম শরীরচর্চা যদি না থাকে তাহলে ওজন বাড়বেই। পেটে চর্বি জমা গভীর কোনও অসুস্থতাকই ইঙ্গিত দেয়। আর তাই চেষ্টা করতে হবে যাবতীয় টেনশন থেকে দূরে থাকার। মানসিক চাপ বাড়লে সেখান থেকেও কিন্তু ভুঁড়ি বাড়ে।
কী কী কারণ থাকতে পারে নেপথ্যে-
মেটাবলিজম- বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কিন্তু মেটাবলিজম কমে যায়, আর মেটাবলিজম কমে গেলে ওজন ঝরানো খুবই কঠিন হয়ে পড়ে। মূলত নারীর মধ্যে এই সমস্যা সবচাইতে বেশি। আর তাই তাদেরকেই ভুঁড়ি নিয়ে বেশি সমস্যার মঘধ্যে পড়তে হয়। অস্বাস্থ্যকর খাবার খেয়েও দিনের পর দিন অনেকের ওজন বাড়ে না। এর কারণ একটাই। তাদের বিপাক ভাল। বিপাক স্লো হলেই ওজন বাড়ে, পেটে মেদ জমে। পেট ফুলতে শুরু করে। থাইরয়েড, ডায়াবেটিস বা অন্যান্য সমস্যা থাকলে সেখান থেকেও কিন্তু বিপাক কমে যায়।
স্ট্রেস- অতিরিক্ত স্ট্রেসও ওজন বেড়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ। স্ট্রেস বাড়লেই হরমোনের তারতাম্য দেখা দেয়। অ্যাড্রিনালিন এবং কর্টিসোল হরমোনের ক্ষরণ ঠিকমতো হয় না। আর এই হরমোনের ক্ষরণ ঠিকমতো না হলেই কিন্তু সেখান থেকে ওজন বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। পেটেও অতিরিক্ত মেদ জমে যায়।
ভুল ডায়েট- ডায়েটেরও নানা ধরণ থাকে। না খেয়ে থাকলেই রোগা হওয়া যায় না। অনেকেই আছেন যারা নিজের ডায়েট চাট নিজেই ঠিক করেন। ভুলবশত কার্বোহাইড্রেট সমৃদ্ধ খাবার বেশি খাওয়া হয়ে যাচ্ছে। আর এর ফলে কিন্তু ওজন বাড়বেই। আসতে পারে হৃদরোগ, ডায়াবেটিস, উচ্চরক্তচাপ বা কোলেস্টেরলের মত সমস্যা। ঘুম কম হয়, সেখান থেকে স্ট্রোকের সমস্যাও বেড়ে যায়। আর তাই পেট খালি রাখবেন না। সময় বুঝে খাবার খান। স্বাস্থ্যকর খাবার খান।
বিডি প্রতিদিন/ ওয়াসিফ