ঢাকা, রবিবার, ২৮ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

আলোচনা সভায় বক্তারা
বাল্যবিয়ে রোধে সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে
অনলাইন ডেস্ক
বাল্যবিয়ে রোধে আলোচনা সভা

বাল্যবিয়ে রোধে আইনের প্রয়োগের পাশাপাশি সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সকলকে একযোগে সমন্বয়ের মাধ্যমে কাজ করতে হবে। বাল্যবিয়ে প্রতিরোধে বিশ্বব্যাপী পার্টনারশিপের জাতীয় পর্যায়ের নেটওয়ার্ক গার্লস নট ব্রাইডস (জিএনবি) বাংলাদেশ রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে জাতীয় পর্যায়ে ‘বাল্যবিয়ে নিরোধে করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।

আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মেহেড় আফরোজ চুমকি এমপি। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উম্মে ফাতেমা নাজমা বেগম এমপি, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক সালেহ বিনতে সিরাজ।

প্যানেলিস্ট হিসেবে অংশগ্রহণ করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক তাসলিমা ইয়াসমিন, সোহানুর রহমান, নির্বাহী প্রধান, প্রতীকি যুব সংসদ, বাংলাদেশ মুসলিম ম্যারেজ রেজিস্ট্রার সোসাইটির সভাপতি মাওলানা খলিলুর রহমান সরদার। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন গার্লস নট ব্রাইডস বাংলাদেশ নেটওয়ার্কের সদস্যরা, কিশোর-কিশোরী ও মাঠকর্মী।

সভার শুরুতে নেটওয়ার্ক কর্তৃক সংগঠিত জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে মতবিনিময় সভার মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন সুমাইয়া সিদ্দিকী সিনিয়র টেকনিক্যাল কো-অরডিনেটর, কেয়ার বাংলাদেশ। বাল্যবিয়ে নিরোধে বিদ্যমান বাধা, নিরোধ কমিটির করণীয়, কমিটির সদস্যদের দায়িত্ব ও কার্যাবলি, শিশু প্রতিনিধির উপস্থিতির অভাব, কমিটিতে নারী সদস্যের অনুপাত, প্রস্তাবিত কার্যক্রম ও সুপারিশগুলো উপস্থাপন করা হয়। উপস্থাপনা শেষে প্যানেল আলোচনায় শিশু প্রতিনিধিত্ব বৃদ্ধি, ভুয়া জন্মসনদ, সামাজিক ও আইনি সচেতনতা, আইন ও প্রয়োগ নিয়ে আলোচনা করা হয়।

মেহের আফরোজ চুমকি বলেন, করোনা পরবর্তী সময়ে বাল্যবিয়ের পাশাপাশি স্কুল থেকে ঝড়ে পড়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়ে গেছে। সকলের মানসিকতা পরিবর্তন, জন্ম নিবন্ধনে সঠিক নজরদারি ও সকলের সমন্বয় প্রয়োজন বলে জানান তিনি।

প্যানেল আলোচনায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক তাসলিমা ইয়াসমিন বলেন, আইনের প্রয়োগের পাশাপাশি সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সকলকে একযোগে সমন্বয়ের মাধ্যমে কাজ করতে হবে। ভুয়া নোটারি বন্ধে স্থানীয় বার কাউন্সিলের হস্তক্ষেপ প্রয়োজন বিষয়ে গুরুত্ব আরোপ করেন। বাল্যবিয়ে নিরোধ কমিটির জাতীয় পর্যায়ে মনিটরিং জোরদার ও নিশ্চিত করার বিষয়ে তিনি পরামর্শ দেন।

সোহানুর রহমান বলেন, বাল্যবিয়ে নিরসনে নীতি নির্ধারক পর্যায়ে নারী প্রতিনিধিত্ব, জাতীয় কমিটির সক্রিয়তা জরুরি এবং কিশোর-কিশোরীদের সাথে নিয়েই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হবে।

মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক সালেহ বিনতে সিরাজ সরকারের গৃহীত কিছু উদ্যোগ সম্পর্কে জানান এবং উক্ত সভায় প্রস্তাবিত সুপারিশগুলো বাস্তবায়নে কাজ করার প্রতিশ্রুতি প্রদান করেন। উম্মে ফাতেমা নাজমা বেগম এমপি বলেন বাল্যবিয়ের নেতিবাচক প্রভাব কমাতে পরিবারের এগিয়ে আসা ও সচেতনতা বৃদ্ধি জরুরি।

বিডি প্রতিদিন/এমআই



এই পাতার আরো খবর