ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৬ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

নাইট স্কিন কেয়ার টিপস!

ঘুম ভাঙা থেকে সেই যে ছোটা, বিশ্রাম একদম রাতে। প্রতিদিনের ব্যস্ততায় নিঃশ্বাস নেওয়ারই উপায় নেই, তো রূপচর্চা! দিনে সময়ের সত্যিই অভাব। কিন্তু রাতের বেলা তো খানিকটা রূপচর্চা করাই যায়। তাই রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে কীভাবে চুল ও ত্বকের যত্ন নেবেন, জেনে নেওয়া যাক।

♦ ত্বক পরিষ্কার থেকে শুরু করুন। রাতে শুতে যাওয়ার আগে তাই মুখ পরিষ্কার করা একান্ত জরুরি। মুখে মেকআপ থাকলে, তুলোয় মেকআপ রিমুভার নিয়ে ভালোভাবে মেকআপ তুলে নিন। এরপর সামান্য বেবি অয়েল বা অলিভ অয়েল নিয়ে মুখে ম্যাসাজ করুন। টিস্যু দিয়ে মুখ মুছে ফেসওয়াশ ব্যবহার করুন। সপ্তাহে দুই দিন ফেসওয়াশের পর স্ক্রাব ব্যবহার করতে পারেন।

♦ এটি অবশ্য অপশনাল। সম্ভব হলে করতে পারেন। না হলে ক্ষতি নেই। আর তা হলো- ফেসপ্যাক। ঘুমানোর আগে ফেসপ্যাক লাগালে তার ফলও ভালো পাওয়া যায়। পছন্দের যে কোনো ক্লে-বেসড (স্বাভাবিক এবং তৈলাক্ত ত্বকের ক্ষেত্রে) কিংবা ক্রিম-বেসড (শুষ্ক ত্বকের ক্ষেত্রে) ফেসপ্যাক লাগাতে পারেন। অথবা গোলাপ জল এবং মুলতানি মাটি (স্বাভাবিক এবং তৈলাক্ত ত্বকের ক্ষেত্রে) কিংবা টকদই, মধু এবং পাকা কলা (শুষ্ক ত্বকের ক্ষেত্রে) একসঙ্গে মিশিয়ে মুখে লাগাতে পারেন। ১৫ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে দুই দিনই যথেষ্ট।

♦ মুখ পরিষ্কার করে নরম তোয়ালে দিয়ে পানি মুছে নিন। তবে মুখ ঘষবেন না। এরপর টোনার ব্যবহার করুন। পরিষ্কার ত্বকে নিয়মিত টোনার ব্যবহারে ত্বকের প্রদাহ কমবে। তবে অবশ্যই ত্বকের ধরন অনুযায়ী টোনার বাছুন। তৈলাক্ত ত্বকে নিম, বেসিল, টি-ট্রি অয়েল, গ্রিন টি ইত্যাদি সমৃদ্ধ টোনার খুব ভালো কাজ করে। অপরদিকে শুষ্ক ত্বকের ক্ষেত্রে গোলাপজল, অ্যাভোকাডো, মধু ইত্যাদি উপাদানে সমৃদ্ধ টোনার আদর্শ। খেয়াল রাখবেন, টোনার যেন অ্যালকোহল-বেসড না হয়। এতে ত্বকের ক্ষতিই বেশি।

♦ এরপর ময়েশ্চারাইজার। শুধু রাত নয়, যে কোনো সময় রূপচর্চায় এটি অন্যতম প্রধান ধাপ। যাদের ত্বক অতিরিক্ত তৈলাক্ত, তারা মুখ ভিজে থাকা অবস্থাতেই ত্বকে অল্প ময়েশ্চারাইজার লাগান। ১৫-২০ মিনিট রেখে তুলো দিয়ে আলতো করে মুছে নিন। মুখের পাশাপাশি গলায় ও ঘাড়েও ময়েশ্চারাইজার লাগান। সঙ্গে সারা শরীরেরও ময়েশ্চারাইজার লাগান। হাত, পায়ের পাতা, হাঁটু, গোড়ালি অংশে বেশি জোর দিন। আজকাল বাজারে বিভিন্ন স্লিপিং মাস্কও পাওয়া যায়। এগুলো মূলত জেল-বেসড ময়েশ্চারাইজার, যা পুরু স্তরে সারারাত ত্বকে লাগিয়ে রাখা যায়।

♦ ময়েশ্চারাইজারের পর ঠোঁট আর্দ্র থাকা অবস্থায় নরম তোয়ালে বা ওয়েট টিস্যু পেপার দিয়ে আলতো করে ঘষে নিন। এরপর লিপবাম লাগান। পাশাপাশি ব্যবহার করতে পারেন আন্ডার-আই ক্রিম। ফলে ওই অংশের ত্বক দৃঢ়, নরম এবং মসৃণ থাকবে।

♦ ত্বকের যত্ন মোটামুটি শেষ। এবার নজর দিন চুলের দিকে। পরদিন শ্যাম্পু করা হলে, সামান্য নারকেল তেল গরম করে স্ক্যাল্পে এবং চুলের ডগায় মালিশ করে নিন। সপ্তাহে দুবার এ অবস্থাতে গরম পানিতে তোয়ালে ডুবিয়ে চুলে জড়িয়ে রাখুন। এরপর চুল বড় দাঁড়ার কাঠের চিরুনি দিয়ে ভালোভাবে ব্রাশ করে নিন। চুল লম্বা হলে হালকা পনি বা বিনুনি করে নিতে পারেন।

লেখা : ফেরদৌস আরা

 

বিডি প্রতিদিন/ ওয়াসিফ



এই পাতার আরো খবর