ঢাকা, সোমবার, ১ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

সুরভিমণ্ডিত গার্ডেনিয়া
অনলাইন ডেস্ক

দেখতে বেশ সুন্দর। বাগানের আদরের দুলালি বললেও ভুল হবে না। ধবধবে সাদা আর মিষ্টি গন্ধে ভরপুর। এর আরেক নাম কেপ জ্যাসমিন। এ ফুলেল গাছটি বড্ড আদুরে আর আহ্লাদে। এর চাহিদা অন্য সবার চেয়ে ভিন্ন রকম। গাছটির প্রচুর পরিমাণে পানি লাগে। আর এর কিছুটা ব্যতিক্রম ঘটলেই বিপদ। গাছ তার রূপবৈচিত্র্য না দেখিয়েই নষ্ট হয়ে যাবে। শুধু তাই নয়, অতিরিক্ত পানি দিয়ে আপনার বাগানের গার্ডেনিয়াকে নষ্ট করবেন না। অন্ধকারে না রেখে আলো বাতাস চলাচল করতে পারে এমন স্থান বেছে নিন আপনার গার্ডেনিয়ার জন্য। আসলে ঝকঝকে সূর্যালোকে এরা দ্রুত বেড়ে ওঠে। তবে প্রখর রোদের তাপে আবার রাখতে যাবেন না। মুষড়ে যাবে। এক কথায়, আলো ছায়ার খেলাতেই এরা মেতে থাকতে বেশ পছন্দ করে। তাই এসব কথা মাথায় রেখেই গার্ডেনিয়াকে আপনার বাগানে জায়গা দিতে হবে। অম্লস্বাদের মাটিতে এরা স্বাভাবিকভাবে বেড়ে ওঠে। এদের বেড়ে ওঠার জন্য বছরে দুইবার সালফিউরিক অ্যাসিড ব্যবহার করতে পারেন। দুর্বল মাটি এদের সয় না। তাই সার ব্যবহার করে এদের নাজেহাল করে তুলবেন না। এতে মাটির ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যাবে। গার্ডেনিয়ার শুকনো নয়, ভেজা ভেজা ভাব তার পছন্দের। প্রচণ্ড দাবদাহ এবং কনকনে শীত এই সুন্দর ফুল গাছের মোটেও সহনীয় নয়। মধ্যম আবহাওয়াতেই এরা সাবলীলভাবে বেড়ে ওঠে। যথাযথ তাপমাত্রা না পেলে এরা বেড়ে উঠতে পারে না। শীতের কনকনে ঠান্ডায় এদের ঘরে এনে রাখুন। অন্দরের উত্তাপে এরা স্বস্তিতে থাকতে পারবে।

এদের বিকশিত হওয়ার জন্য সমৃদ্ধশীল মাটি প্রয়োজন। মাটির গুণাগুণ বৃদ্ধিতে প্রয়োজনে সালফার ব্যবহার করতে পারেন। গাছ লাগানোর সময় কমপোস্ট ব্যবহার করুন। এ অর্গানিক সার গাছের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। পর পর কয়েকটি গার্ডেনিয়া লাগানোর ইচ্ছে থাকলে তিন থেকে ছয় ফিট দূরত্বে লাগানোর চেষ্টা করুন। না হলে গাছ বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পানি এবং পুষ্টির জন্য শেকড়ে শেকড়ে ঝামেলা পাকিয়ে যাবে। এতে গাছের স্বাস্থ্য নষ্ট হয়ে যেতে পারে। বাগান কিংবা টব দুই জায়গাতেই এ গাছ রোপণ করা যায়। সাধের অন্দরে গার্ডেনিয়ার সৌরভ চাইলে মাঝারি সাইজের টব বেছে নিন।

লেখা : সাদিয়া সারা

বিডি প্রতিদিন/হিমেল



এই পাতার আরো খবর