দক্ষিণাঞ্চলের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ নজর রয়েছে উল্লেখ করে পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক বলেছেন, ‘বরিশালে ফ্লাইট চালু হওয়ার পরে যাত্রী না থাকায় তা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু বর্তমান প্রেক্ষাপট ভিন্ন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অর্থনৈতিকভাবে আমরা সাবলম্বি হয়েছি। দেশে অর্থনৈতিক উন্নয়ন বেগবান হচ্ছে। পায়রা বন্দরসহ দক্ষিণাঞ্চলে অনেক উন্নয়ন হয়েছে, এখন বিভিন্ন ধরনের মানুষের আসা যাওয়া বেড়েছে। এখন যে সকল এয়ারলাইন্স ফ্লাইট পরিচালনা করছে তারা ফুল লোডেড হয়ে যাওয়া-আসা করছে।’
আজ শনিবার বরিশাল বিমানবন্দর ও বিমানবন্দর সংলগ্ন সুগন্ধা নদীর ভাঙ্গণ কবলিত এলাকা পরিদর্শন শেষে এসব কথা বলেন তিনি। প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী, সংরক্ষিত আসনের নারী সংসদ সদস্য সৈয়দা রুবিনা আক্তার মিরা বিমানবন্দর ও এর পার্শবর্তী ভাঙ্গণ কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেন।
পরিদর্শন শেষে জাহিদ ফারুক বলেন, ‘গত বছরগুলোতে আমরা দেখেছি ভাঙ্গণের প্রবণতা খুব বেশি ছিল। এটা মাথায় রেখে এ মুহূর্তে বরিশাল বিমানবন্দরের রানওয়েকে রক্ষা করা নিয়ে চিন্তিত। আসন্ন বর্ষায় যাতে ভাঙ্গণটা রানওয়ে পর্যন্ত না যায় সেজন্য ইতোমধ্যে ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। এর আগে আমরা ৫শত মিটার জায়গায় জিও ব্যাগ ফেলে রক্ষা করার কাজ করেছিলাম। এখন আমরা সেটিকে বাড়িয়ে আরো ৬ শত মিটারসহ মোট ১১ শত মিটার জায়গা রক্ষা করতে চাচ্ছি। প্রকৌশলীরা বলছেন, এটা করলে নদীর তীর আসন্ন বর্ষায় আর ভাঙবে না। অপরদিকে বড় প্রকল্পের ফিজিবিলিটি স্টাডি চলমান, সেটা হলে আমরা প্রকল্পটা নিয়ে আগামী (পরবর্তী বছর) বর্ষা মৌসুমের আগে ভাঙণরোধে স্থায়ী কাজ করতে পারব।’
বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ