ঢাকা, শনিবার, ২৭ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

প্রাণিসম্পদ খাতকে গণমাধ্যম আরও বিকশিত করতে পারে : পররাষ্ট্রমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট
বক্তব্য দিচ্ছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, ‘বাংলাদেশের উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় গণমাধ্যমের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সব ক্ষেত্রেই গণমাধ্যম জবাবদিহির মাধ্যমে রাষ্ট্রব্যবস্থাকে আরও এগিয়ে নিতে পারে।’ 

তিনি বলেন, ‘যে সমস্ত সাফল্য এবং উন্নয়ন সেগুলো গণমাধ্যমের মাধ্যমে জনগণ জানতে পারে। তাছাড়া গণমাধ্যমে সরকারের ভুলত্রুটিগুলো উত্থাপিত হলে সরকারও সচেতন হয় এবং তার সমালোচনাগুলো শুধরাতে পারে।

আজ শুক্রবার সকালে সিলেট নগরীতে ‘বাংলাদেশে প্রাণিসম্পদ খাত : সমস্যা ও সম্ভাবনা’ বিষয়ক সাংবাদিকদের এক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রাণিসম্পদ বিভাগের এলডিডিপি প্রকল্প এবং পরিপ্রেক্ষিতের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত দিনব্যাপী কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন প্রাণিসম্পদ বিভাগের মহাপরিচালক ডা. মো. এমদাদুল হক তালুকদার। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন গণমাধ্যম বিশেষজ্ঞ মনজুরুল আহসান বুলবুল, পরিপ্রেক্ষিতের নির্বাহী পরিচালক সৈয়দ বোরহান কবীর এবং এলডিডিপি প্রধান টেকনিক্যাল কর্মকর্তা ড. গোলাম রব্বানী। 

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘অনেক সময় গণমাধ্যমের কোনো কোনো সাংবাদিক বিভিন্ন বক্তব্য টুইস্ট করেন। ফলে সত্য আড়াল হয় অথবা সত্য বিকৃত হয়।’ এটা ঠিক নয় বলে উল্লেখ করে তিনি প্রত্যাশা করেন গণমাধ্যম বক্তার বক্তব্যকে টুইস্ট করবে না। 

পররাষ্ট্রমন্ত্রী উদাহরণ দিয়ে বলেন, ‘গতকাল আমি সিলেটে এসেছি। আমাকে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেছে, এত বিদেশি কূটনীতিক বাংলাদেশে এসেছে। বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কূটনীতিকদের বাংলাদেশ সফর নিয়ে তারা আমার কাছে জানতে চান। আমি বললাম দু'দেশের সম্পর্কের উন্নয়ন ঘটছে এবং আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। কিন্তু একটি গণমাধ্যমে লেখা হলো, আমাদের ভুল বোঝাবুঝির অবসান হতে চলেছে। এ ধরনের কোনো কথাই আমি বলিনি।’ এই প্রসঙ্গ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘দায়িত্বশীল গণমাধ্যম সরকারের জন্য এবং জনগণের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ।’

প্রাণিসম্পদ খাতকে একটি সম্ভাবনাময় খাত হিসেবে উল্লেখ করেন তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন জায়গায় শিক্ষিত তরুণরা প্রাণিসম্পদ খাতে এগিয়ে আসছে। তারা ছোট ছোট খামার করছে, পলট্রি করছে। এই সমস্ত বিষয়গুলো যদি গণমাধ্যমের মাধ্যমে উঠে আসে তাহলে পরে অন্যরাও উৎসাহিত হবে। তাছাড়া যদি গণমাধ্যমকর্মীরা এই খাতের সংকটগুলো এবং সামীবদ্ধতাগুলো তুলে ধরে সেটিও সরকারের জন্য লাভজনক হবে।

তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের অগ্রগতি, অগ্রযাত্রায় গণমাধ্যমের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’ 

উদ্বোধন কর্মশালার পর ড. গোলাম রব্বানী কর্তৃক এলডিডিপি প্রকল্পের বিভিন্ন দিক উপস্থাপিত হয়। এরপর গণমাধ্যমকর্মীদের করণীয় সম্পর্কে আলোকপাত করেন মনজুরুল আহসান বুলবুল। 

উল্লেখ্য, এলডিডিপি এবং পরিপ্রেক্ষিত বিভাগীয় শহরে গণমাধ্যমকর্মীদের সাথে কর্মশালার আয়োজন করেছে।

বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ

 



এই পাতার আরো খবর