ঢাকা, মঙ্গলবার, ১২ নভেম্বর, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

পট্টি নদীবন্দর উদ্বোধন
শেখ হাসিনার কারণে মানুষের সম্মান ও মর্যাদা বেড়েছে: নৌ প্রতিমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদক

নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এমপি বলেছেন, শেখ হাসিনার সুশাসনের কারণে দেশের মানুষের সম্মান ও মর্যাদা বৃদ্ধি পেয়েছে। আগে বাংলাদেশের মানুষের সম্মান ছিলো না। মৌলিক অধিকার ছিলো না। শেখ হাসিনাই মানুষের মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছেন। দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। দেশের মানুষ নৌকা মার্কায় ভোট দিয়েই শেখ হাসিনাকে প্রতিদান দিবে ইনশাআল্লাহ। 

প্রতিমন্ত্রী আজ শরীয়তপুর জেলার গোসাইরহাট নবঘোষিত পট্টি নদী বন্দরের উদ্বোধন শেষে এক সুধি সমাবেশে উপরোক্ত কথা বলেন। 

নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, শরীয়তপুরসহ আশপাশের অঞ্চলের অর্থনীতির জন্য গোসাইরহাট-পট্টি নদীবন্দর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। তিনি বলেন, দেশের অর্থনীতি যেহেতু ব্যাপক এগিয়ে যাচ্ছে সেখানে গোসাইরহাট ও শরীয়তপুরের এই অঞ্চল পিছিয়ে থাকবে না। ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে পায়রা, মংলা, চট্টগ্রাম ও মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্র বন্দর-সব কিছুর সাথে এই নৌপথ যুক্ত থাকবে‌। এই এলাকার আগামী দিনের অর্থনীতির ক্ষেত্রে এই বন্দরটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। 

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে টেকনাফ থেকে তেতুলিয়া, রূপসা থেকে পাথুরিয়া পর্যন্ত অভাবনীয় উন্নয়ন হয়েছে। আগে বাংলাদেশের মানুষের সম্মান ছিল না। শেখ হাসিনার সময়ে দেশের মানুষের সম্মান ও মর্যাদা বৃদ্ধি পেয়েছে। তিনি পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, বঙ্গবন্ধু টানেল, শাহজালাল বিমানবন্দরের থার্ড টার্মিনাল নির্মাণ করেছেন। মানুষের মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছেন। তিনি দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। শেখ হাসিনা, আওয়ামী লীগ ও নৌকা মার্কার কারণে দেশের উন্নয়ন হচ্ছে। উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে আবারও নৌকা মার্কায় আওয়ামী লীগকে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করার আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, সমগ্র পৃথিবীর সভ্যতা গড়ে উঠেছে নদীর অববাহিকায়। প্রান্তিক পর্যায়ে এই এলাকাগুলো এখানে ব্যবসা-বাণিজ্যের মূল জায়গাটা হচ্ছে নৌপথ। এই নৌপথ যাত্রীদের থেকেও ব্যবসা-বাণিজ্য যোগান দিবে বেশি। যখন নদীবন্দর হয়ে যাবে তখন বিআইডব্লিউটিএ চ্যানেল ঠিক করার জন্য সার্বক্ষণিক কাজ করে যাবে। 

তিনি বলেন, আমরা অনেকগুলো ড্রেজার সংগ্রহ করেছি, বাংলাদেশে এখন অনেকগুলো ড্রেজার আমাদের সংরক্ষণে আছে সরকারি পর্যায়ে এবং বেসরকারী পর্যায়ে। নৌপথ সচল রাখতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ আছে। ১০ হাজার কিলোমিটার নৌপথ খনন কার্যক্রমের মধ্যে এই নৌ পথটি একটি। 

প্রতিমন্ত্রী বলেন, নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয় চায় নদী কেন্দ্রিক এই জেলার মানুষ সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা যেন পায় সেই জায়গাটা আমরা তৈরি করতে। তারও একটি অংশ এই নদীবন্দর। ভবিষ্যতে বিআইডব্লিউটিএ এর আরো অনেক কার্যক্রম আমরা এই শরীয়তপুরে দেখতে পারব। ভবিষ্যতেও এই নদীবন্দরকে পূর্ণাঙ্গ করতে যা যা দরকার তা আমরা করবো। 

এসময় এই নৌ বন্দর নির্মাণে স্থানীয় সংসদ সদস্য নাহিম রাজ্জাকের অক্লান্ত প্রচেষ্টার কথা উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, শরীয়তপুরের মধ্যে প্রান্তিক পর্যায়ে তিনি একটি নৌবন্দর নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের থেকে আদায় করেছে এবং এটি বিআইডব্লিউটিএ এর ৪৫তম নৌ বন্দর।

খালিদ মাহমুদ বলেন, আমি যে কয়েকটি নৌ বন্দরে এসে উপস্থিত হয়েছি এবং দেখেছি তার মধ্যে এটি একটি। এই জায়গাটি আমাদের ঐতিহাসিক একটি মানুষের কারণে তিনি হচ্ছেন আমাদের প্রয়াত জননেতা আব্দুর রাজ্জাক। তাকে আপনারা হৃদয়ের মনি কোঠায় স্থান দিয়ে রাখেন। শুধু শরীয়তপুরের মানুষ না সমগ্র বাংলাদেশের মানুষ। তারই উত্তরাধিকার তার সন্তান আপনাদের প্রতিনিধিত্ব করছে। এটা নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে যে আব্দুর রাজ্জাকের মত জননেতা যে এলাকায় জন্ম নিয়েছে সেই এলাকার মানুষকে তুলে নিয়ে আসা এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আপনারা দেখেছেন শরীয়তপুরের মানুষকে কিভাবে তারা আঁচল দিয়ে দেখে রেখেছেন।

উল্লেখ্য, শরীয়তপুর জেলার গোসাইরহাট উপজেলা এবং পৌরসভা সংলগ্ন জয়ন্তী নদীর অববাহিকায় বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃক স্থাপিত পট্টি নদী বন্দরের সংরক্ষক বিআইডব্লিউটিএ। গোসাইরহাট-পট্টি নদী বন্দর এলাকাটি গোসাইরহাট উপজেলার প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত। গোসাইরহাট-পট্টি নদী বন্দর এলাকার গোসাইরহাট-পট্টি লঞ্চঘাট থেকে বর্তমানে ঢাকা- চাঁদপুর- হাটুরিয়া-পট্টি-ডামুড্যা নৌপথে এবং ঢাকা-হাটুরিয়া-পট্টি-ডামুড্যা নৌপথে প্রতিদিন ৩টি করে মোট ৬টি দোতলা লঞ্চ চলাচল করে। গোসাইরহাট-পট্টি লঞ্চঘাট থেকে প্রতিদিন প্রায় ২০-৩০টি ট্রলার যোগে বিভিন্ন ধরনের মালামাল চাঁদপুর এবং স্থানীয় চরাঞ্চলে পরিবহন করে থাকে। চলতি ২০২৩-২০২৪ অর্থ বছরে পট্টি, হাটুরিয়া ও ডামুড্যা লঞ্চঘাট থেকে ইজারার মাধ্যমে সরকারের ১৮ লাখ টাকা আয় হয়েছে।

বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন



এই পাতার আরো খবর