আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, এক সপ্তাহের মধ্যে দেশি পিয়াজ বাজারে আসা শুরু হবে। ফলে পিয়াজের দাম শিগগিরই কমে যাবে। পিয়াজের দাম হঠাৎ এক রাতের মধ্যে যেভাবে লাফিয়ে বেড়েছে, এতে ব্যবসায়ীদের অসৎ মানসিকতার বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে।
সোমবার দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তথ্যমন্ত্রী।
দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সিন্ডিকেট রুখে দিতে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে একটি উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল, সেটি এখন আর নেই। তাহলে কি সিন্ডিকেট রুখে দিতে সরকার ব্যর্থ হয়েছে? এমন প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, গত দুই সপ্তাহে বেশির ভাগ দ্রব্যের মূল্য কমেছে। গরুর মাংস আমার এলাকায় সাড়ে ৫০০ করে বিক্রি হচ্ছে মাইকিং করে। যেটা কয়েক দিন আগে সাড়ে ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা ছিল। শাক-সবজির দাম কমেছে, অন্যান্য পণ্যের দামও কমেছে।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, পিয়াজের দাম হঠাৎ করে বেড়েছে। এক রাতে যেভাবে পিয়াজের দাম লাফিয়ে বেড়েছে, সে বিষয়ে আমি আপনাদের সাথে একমত। সেটি হওয়ার কোনো কারণ ছিল না। ভারত ৩১ মার্চ পর্যন্ত পিয়াজ রপ্তানি বন্ধ করার ঘোষণা দেওয়ার সাথে সাথে বাজারে দাম বেড়ে যাওয়া, এটা হয়েছে আমাদের পাইকারি বা খুচরা ব্যবসায়ী যাই বলেন সকল প্রকার ব্যবসায়ীদের অসৎ মানসিকতার বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, হঠাৎ করে ৫০ থেকে ১০০ টাকা বেড়ে যাওয়া, এটি কোনভাবেই সমীচীন নয়। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর এ নিয়ে অভিযান শুরু করে দিয়েছে। এ পর্যন্ত ১৩৩ জন ব্যবসায়ীকে জরিমানা করেছে। এতে করে বাজারে কিছুটা শৃঙ্খলা ফিরে এসেছে। পুরোপুরি আসেনি। আমি আপনাদের অনুরোধ জানাব যে, কোনো কিছু হলেই দাম বাড়িয়ে দেয়ার যে মানসিকতা সেটি পাইকারি বা খুচরা পর্যায়ে বলেন, এটির বিরুদ্ধে যদি গণমাধ্যমে রিপোর্ট হয় তাহলে সেটি নিয়ন্ত্রণ করা সহায়ক হবে।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত