ঢাকা, মঙ্গলবার, ৩০ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

ইসিকে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ ধর্মমন্ত্রীর
নিজস্ব প্রতিবেদক

৭ জানুয়ারি ভোটের দিন জামালপুর-২ আসনের একটি কেন্দ্রে গোপন কক্ষে না গিয়ে প্রকাশ্যে ব্যালট পেপারে সিল দেওয়ায় নির্বাচন কমিশনে হাজির হয়ে ক্ষমা চেয়েছেন ধর্মমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ সরকার, আইন রয়ে গেছে, সংবিধান রয়ে গেছে, সবকিছু রয়ে গেছে এবং আমি আইনে ঊর্ধ্বে নয়। কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়। অতএব বিধান অনুসারে আমাদের নির্বাচন কমিশন থেকে তারা আমাকে উপস্থিত হওয়ার জন্য বলেছেন। আমি উপস্থিত হয়েছি এবং আমি আমার কথা বলেছি উনাদের কাছে। আমার যতটুকু বিশ্বাস মেজর কোনো অপরাধ যদিও নাওবা থাকে তারপরও আমি বলেছি, আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। অতএব ক্ষমাশীল দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রেখে আমি আমার কথা শেষ করে চলে এসেছি।

সোমবার বিকেলে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে উপস্থিত হয়ে প্রকাশ্যে ভোটদানের অভিযোগের ব্যাখ্যা শেষে এসব কথা বলেন জামালপুর-২ আসনের এমপি মো. ফরিদুল হক খান।

ধর্মমন্ত্রী বলেন, কমিশন বলল যে-আমরা দেখব বিষয়টা। এটা তাদের বিষয়। আমি তো বলতে পারি না যে, আমাকে রেজাল্ট দেন।

ভাল নির্বাচন হয়েছে, সব জায়গায় প্রশংসা হয়েছে, আপনার এই কর্মকাণ্ডের জন্য আওয়ামী লীগ বিব্রত কিনা, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, না-আওয়ামী লীগ বিব্রত না। আওয়ামী লীগ বিব্রত না, কেউ বিব্রত না।

প্রকাশ্যে ভোট দেওয়া কি আপনার অপরাধ ছিল-এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও বলেন, যতটুকু বলার আমি বলেছি আপনাদের। এর চাইতে বেশি কিছু বলার কোনো সুযোগ নাই এখানে।

এর আগে গত ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণের দিন জামালপুর-২ (ইসলামপুর) আসনের একটি কেন্দ্রে গোপন কক্ষে না গিয়ে প্রকাশ্যে ব্যালট পেপারে সিল দেন নৌকার প্রার্থী ফরিদুল হক খান। এ নিয়ে গণমাধ্যমে ছবি প্রকাশিত হয়। প্রকাশ্যে ভোটপ্রদান করে ভোটের গোপনীয়তা রক্ষা না করা গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২ এর ৮৩ অনুচ্ছেদের বিধান অনুসারে শাস্তিযোগ্য অপরাধ উল্লেখ করে কেন আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে এই মর্মে ফরিদুল হক খানকে তলব করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। গত বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) তাকে তলবের নোটিশ দেয় ইসি।

বিডি-প্রতিদিন/বাজিত



এই পাতার আরো খবর