ঢাকা, সোমবার, ২৯ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

‌‘চিকিৎসকদের ওপর অযাচিত হামলাকারীদের আইনের আওতায় আনা হবে’
ঢাকা মেডিকেল প্রতিনিধি
বিএসএমএমইউতে চিকিৎসারত ডা. নুসরাত তানিম তন্মীকে শনিবার দুপুরে দেখতে যান স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন

দুর্বৃত্তদের হামলায় আহত শরীয়তপুরের ডামুড্ডা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. নুসরাত তানিম তন্মীর শারীরিক অবস্থার খোঁজ নিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) চিকিৎসারত এই ডাক্তারকে শনিবার দুপুরে দেখতে যান তিনি। এ সময় স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. নুসরাত তানিম তন্মীর সঙ্গে কথা বলেন এবং চিকিৎসার খোঁজ নেন।

হামলাকারীদের উপযুক্ত শাস্তির জন্য প্রয়োজনীয় সব ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করবেন বলে ডা. নুসরাত তানিমকে আশ্বাস দেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, ‘শরীয়তপুর জেলা প্রশাসনকে নির্দেশনা দেওয়ার পর ইতোমধ্যেই সেখানে মূল আসামিদের আটক করেছে প্রশাসন। বাকি সন্ত্রাসীদেরও গ্রেফতারে কাজ চলছে। চিকিৎসকদের ওপর যত্রতত্র হামলা হলে সেটি আর মেনে নেওয়া হবে না। হামলাকারীদের আইনের আওতায় এনে উপযুক্ত শাস্তি নিশ্চিত করা হবে।’

উল্লেখ্য, গত ৩১ জানুয়ারি বুধবার সন্ধ্যায় কর্মস্থল থেকে ফেরার পথে দুর্বৃত্তদের হামলার শিকার হন শরীয়তপুরের ডামুড্ডা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. নুসরাত তানিম তন্নী। বর্তমানে তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি আছেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে ডা. নুসরাত তানিম তন্নী জানান, নিম্নমানের ওষুধ ব্যবস্থাপত্রে লিখতে রাজি না হওয়ায় একজন মেডিকেল রিপ্রেজেন্টেটিভ শহীদুল ইসলাম মৃধার সাথে স্থানীয় নেতা জুলহাস মাতবর, লিখন মাতবরসহ প্রায় ১০-১৫ জন তার ওপর এই হামলা চালান। হামলায় ডা. তন্নী ও তার স্বামী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল অফিসার ডা. রাফিও আহত হন। আহত অবস্থায় বাসায় পৌঁছালে হামলাকারীরা পুনরায় বাসায় গিয়ে আবারো তাদের ওপর হামলা চালায়। বাঁধা দিতে গেলে ডা. তন্নীর মাও হামলার শিকার হন। পরবর্তীতে রাতে ডা. তন্নী ও তার মা'কে শরীয়তপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।

উল্লেখ্য, ডা. তন্নী হাসপাতালের বিছানা থেকে সরাসরি স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেনকে ফোন করলে স্বাস্থ্যমন্ত্রী সেদিনই ডা. তন্নীর সাথে বিস্তারিত কথা বলেন। স্বাস্থ্যমন্ত্রী তৎক্ষণাৎ শরীয়তপুর জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের সাথে কথা বলেন এবং দ্রুততম সময়ে সন্ত্রাসী আসামীদের গ্রেফতার করার অনুরোধ জানান। পরবর্তীতে আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের পরিপ্রেক্ষিতে সেদিন রাতেই মূল আসামি মেডিকেল রিপ্রেজেন্টেটিভ শহীদুল ইসলাম এবং পরদিন সকালে স্থানীয় নেতা জুলহাস মাতবরকে গ্রেফতার করা হয়।

পরবর্তীতে স্বাস্থ্যমন্ত্রী অন্য আসামিদেরও দ্রুত গ্রেফতারের পাশাপাশি ডা. তন্নী ও তার পরিবারের আহত সদস্যদের চিকিৎসা ও নিরাপত্তা প্রদানে সংশ্লিষ্ট সকলকে সর্বোচ্চ নির্দেশনা প্রদান করেন।

উল্লেখ্য, এর আগে গত ২৯ জানুয়ারি যশোর চৌগাছা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এক রোগীর চিকিৎসাকে কেন্দ্র করে কর্মরত চিকিৎসক ডা. সোহাগ হামলার শিকার হন। তখন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেনের নির্দেশে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন ওইদিন রাতেই মামলা গ্রহণ করে। সেইসঙ্গে আসামিকে যশোর থেকে আটক করে।

বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ



এই পাতার আরো খবর