ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

কোটা আন্দোলনকে জড়িয়ে সরকার ভিন্ন কিছু করার পাঁয়তারা করছে : মির্জা আব্বাস
নিজস্ব প্রতিবেদক
ফাইল ছবি

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, ‘কোটা সংস্কারের দাবিতে সাধারণ শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করছে। বিএনপির কথা বলে এই আন্দোলন অন্যদিকে নেয়ার সুযোগ নেই। এটা তাদের অপকৌশল ছাড়া কিছুই না। মূলত কোটা আন্দোলনকে জড়িয়ে সরকার ভিন্ন কিছু করার পাঁয়তারা করছে।’

শনিবার শেরেবাংলা নগরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি এ কথা বলেন। মির্জা আব্বাস বলেন, ‘কোটা সংস্কার আন্দোলন শিক্ষার্থীদের ন্যায্য দাবি। এই ন্যায্য দাবির প্রতি বিএনপির সমর্থন আছে। আমাদের আশঙ্কা হচ্ছে- সরকার কোটা সংস্কার আন্দোলনে বিএনপির উস্কানি আছে বলে অন্য দিকে ধাবিত করার অপকৌশল করতে পারে।’

‘ভোটারবিহীন ডামি সরকারকে হটানো আমাদের এখন প্রধান চ্যালেঞ্জ’ বলে মন্তব্য করে তিনি আরও বলেন, ‘বিএনপির আন্দোলন কখনও ব্যর্থ হয়নি। সরকার বিএনপির আন্দোলনকে নস্যাৎ করে দেওয়ার জন্য মিথ্যা মামলা দিয়ে হাজার হাজার নেতাকর্মীকে জেলে পাঠিয়েছে। তারপরও বিএনপির নেতাকর্মীরা মাঠে আছে। এ সরকারের পতন ঘটানো পর্যন্ত তারা রাজপথে থেকে আন্দোলন করবে।’

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব-উন নবী খান সোহেল, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক সাইফুল আলম নীরব, সদস্য সচিব আমিনুল হক, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আব্বাস রফিকুল আলম মজনু, সদস্য সচিব তানভীর আহমেদ রবিন প্রমুখ।

নতাকর্মীদের শোডাউন : দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের সমাধি জিয়ারতকে কেন্দ্র করে ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ বিএনপির অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা সমাধি প্রাঙ্গনে ব্যাপক জমায়েত তৈরি করেন। বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে এতে যোগ দেন। এসময় ঢাকা মহানগর বিএনপির গত কমিটির নেতা আনোয়ারুজ্জামান আনোয়ার, ইউনুস মৃধা, মোস্তাফিজুর রহমান সেগুন, আতাউর রহমান চেয়ারম্যান, ইউনুস মৃধা, আব্দুস সাত্তার,  হারুনুর রশিদ, এজিএম শামসুল হক, মোস্তফা জামান, আখতার হোসেন, ঢাকা মহানগর বিএনপির সাবেক সদস্য এডভোকেট মকবুল হোসেন সরদার, শহীদুল ইসলাম বাবুল, হাজী মো. ইউসুফ সাইদুর রহমান মিন্টু, এবিএমএ রাজ্জাক, কাউন্সিলর আলী আকবর আলী, আকবর হোসেন নান্টু ভূইয়া, আলাউদ্দিন সরকার টিপু, সোহেল রহমান, আফাজ উদ্দীন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শ্রমিক দলের সদস্য সচিব বদরুল আলম সবুজ, যুগ্ম আহবায়ক শাহ আলম মোল্লা, জাকির হোসেন, জিল্লুর রহমান খান, জসিম উদ্দিন, ঢাকা মহানগর যুবদলের শরীফ উদ্দিন জুয়েল, সাজ্জাদুল মেরাজ, মহানগর পশ্চিম ছাত্রদলের জুয়েল হাসান রাজ, তেজগাঁও থানা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক মিরাজ উদ্দিন হায়দার আরজু, হাফিজুর রহমান কবির, উত্তরা পশ্চিম থানা বিএনপি নেতা মো. আব্দুস ছালাম, তুরাগ থানার আহবায়ক আমানুল্লাহ ভূইয়া, দক্ষিণখান থানার আহবায়ক মেতালেব হোসেন রতন, আদাবর থানার আহবায়ক নাসির উদ্দীন, যুগ্ম আহবায়ক মনোয়ার হাসান জীবন, পল্লবী থানার ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক কামাল হুসাইন খান, যুগ্ম আহবায়ক আশরাফ গাজী, সবুজবাগ থানার আশরাফুল রহিম ও ৭৩ নং ওয়ার্ড সভাপতি সোহেল আহমেদ মাকসুদ, উত্তরখান থানার আহবায়ক রফিকুল ইসলাম খান, যুগ্ন আহবায়ক জাহাঙ্গীর বেপারী, সুলতান মাহমুদ বকুল, বিমানবন্দর থানার যুগ্ম আহবায়ক দেলোয়ার হোসেন দিলু, মিজানুর রহমান, উত্তরাপূর্ব থানা যুগ্ম আহবায়ক নজরুল ইসলাম খান, মোহাম্মদপুর থানা ৩৪ নং ওয়ার্ড বিএনপি সভাপতি এ্যাড মাসুম খান রাজেশ সাধারণ সম্পাদক ওসমান রেজা, ভাটারা থানা যুগ্ম আহবায়ক মো. সেলিম মিয়া ও ৪০ নং ওয়ার্ড সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম হাতি, কাফরুল থানা যুগ্ম আহবায়ক আকরামুল হক, ফজলুর রহমান মন্টু ও থানার সদস্য ওয়াহিদ আলমসহ বিএনপি ঢাকা মহানগরের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।



এই পাতার আরো খবর