ঢাকা, বুধবার, ১৩ নভেম্বর, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

রাজনাথের বক্তব্য ইঙ্গিতপূর্ণ এবং উস্কানিমূলক : রিজভী
নিজস্ব প্রতিবেদক
কথা বলছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী

বাংলাদেশ নিয়ে ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের বক্তব্যকে ইঙ্গিতপূর্ণ এবং উস্কানিমূলক বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

আজ শুক্রবার বিকালে রাজধানীর রামপুরায় ‘আমরা বিএনপি পরিবার’ আয়োজিত আওয়ামী ফ্যাসিবাদ বিরোধী গণঅভ্যুত্থানে নিহত রিকশাচালক সাগরের পরিবারকে আর্থিক অনুদান দিয়ে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।

রিজভী বলেন, ‘ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং দেশটির সেনাবাহিনীর কমান্ডারদের সঙ্গে বৈঠকে বলেছেন, যুদ্ধের মাধ্যমে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য সেনাবাহিনীকে প্রস্তুত থাকতে। এটা তাদের দেশের ব্যাপার, তাদের দেশের নিরাপত্তার ব্যাপার।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের উদ্বেগের বিষয় যা আমাদের আশঙ্কার তৈরি করেছে- তিনি বলেছেন, রাশিয়া, ইউক্রেন, হামাস ও বাংলাদেশের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। বাংলাদেশে তো কোনো যুদ্ধ হচ্ছে না। এখানে শতাব্দীর সেরা গণ-আন্দোলনের মাধ্যমে স্বৈরাচার সরকারের পতন ঘটানো হয়েছে। এটা আমাদের নিজস্ব বিষয়।’

‘দানব চেপে বসে আমাদের রক্ত চুষে খাচ্ছিল, জনগণের পকেট কেটে তারা হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার করেছে। সেই দানব সরকারকে ছাত্র-জনতা আন্দোলনের মাধ্যমে  রক্ত দিয়ে বিতাড়িত করেছে। এখন বাংলাদেশে স্বাভাবিক পরিস্থিতি বিদ্যমান। বাংলাদেশ একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র।’

‘রাজনাথ সিংয়ের রাশিয়া, ইউক্রেন, ইসরাইল ও হামাসের সঙ্গে বাংলাদেশের নাম বলা ইঙ্গিতপূর্ণ এবং উস্কানিমূলক। এ বিষয়ে বাংলাদেশের সকল ছাত্র জনতাকে সতর্ক থাকতে হবে।’

বিএনপির এই মুখপাত্র আরও বলেন, ‘নানা ধরনের দুরভিসন্ধি এখনো চলছে। যারা পরাজিত হয়েছেন তাদের আছে বিপুল পরিমাণ কালো টাকা রয়েছে। বিগত ১৬ বছরে তারা কালো টাকার পাহার গড়েছে। এখন তারা এই টাকা ব্যবহার করে নানা ষড়যন্ত্র করছে। গার্মেন্টস শ্রমিকদের তারা নানাভাবে ব্যবহার করার চেষ্টা করছে। গোটা দেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য তারা গভীর ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছে। রাস্তায় ব্যারিকেড দিয়ে দেশকে দুর্যোগের মধ্যে ফেলে দেওয়ার চেষ্টা করছে। দেশবাসীকে এই বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। আশুলিয়ায় শ্রমিকদেরকে উস্কানি দিচ্ছে এই অশুভ শক্তি। ছাত্র-জনতা-শ্রমিকরা মিলে তাদের প্রতিরোধ করতে হবে।’

রিজভী বলেন, ‘বিগত ১৬ বছরে প্রায় ১০০ টির মতো বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন হয়েছে এবং ভারতের আদানি গ্রুপের সাথে খসড়া চুক্তি বা শর্ত স্বাক্ষর করে তাদের সাথে হাজার হাজার কোটি টাকা লেনদেন করেছে। কারণ তাদের মধ্যে পার্সেন্টেজের ব্যাপার আছে। টেবিলের নিচ দিয়ে হাজার হাজার কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে। কোনো প্রকার শর্ত না দেখেই তারা চুক্তি করেছে।’

বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ



এই পাতার আরো খবর