বিশ্বের সবচেয়ে বড় কন্যা সন্তানের জন্ম দিলেন ভারতের কর্নাটক রাজ্যের বাসিন্দা নন্দিনী। গত সোমবার সন্ধ্যায় রাজ্যটির দক্ষিণাঞ্চলের শহর হাসানের একটি সরকারি হাসপাতালে কন্যা সন্তানের জন্ম দেন নন্দিনী। সাধারণত সদ্যজাত শিশুদের গড় ওজন যেখান ৭.৫ পাউন্ড (৩.৪০ কিলোগ্রাম) হয় সেখানে নন্দিনীর সন্তানের ওজন তার দুইগুণ। অর্থাৎ ১৫ পাউন্ড (৬.৮০ কিলোগ্রাম)।
এর আগে ২০১৩ সালে স্পেনে সবচেয়ে বড় কন্যা সন্তানের জন্ম দিয়েছিলেন ব্রিটেনের নাগরিক ম্যাক্সিম ম্যারিন। কন্যা সন্তানের ওজন ছিল ১৩ পাউন্ডের একটু বেশি (৬.১০ কেজি)। ১৯৫৫ সালে ইতালিতে পুত্র সন্তানের জন্ম দিয়েছিলেন ক্যামেলিনা ফিডেল। ওজন ছিল (১০.২০ কেজি)। তবে সবাইকে হার মানিয়েছে নন্দিনীর বাচ্চা।
নন্দিনীর চিকিৎসার দায়িত্বে থাকা হাসপাতালের নারী বিশেষজ্ঞ ডা. পূর্ণিমা মনু জানান ‘তিনি (নন্দিনী) যখন হাসপাতালে আসেন তখন আমরা সবাই আশ্চর্য হয়ে যাই। তাঁর অপারেশন করতে প্রায় আধা ঘণ্টা সময় লেগেছিল। আসলে তিনিও যথেষ্ট ভারী চেহারার নারী ছিলেন। আমরা তাঁর শরীরের সুগার নিয়ে চিন্তায় ছিলাম কিন্তু তাঁর শরীরে কোন সুগার, থাইরয়েড, কিংবা শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা ছিল না। বর্তমানে মা ও সন্তান দুজনেরই ভাল আছে। পরিস্থিতি বুঝে আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই তাদের ছেড়ে দেওয়া হবে।
স্থানীয় চিকিৎসক ডা. ভেঙ্কটেশ রাজু জানান, ‘আমার পঁচিশ বছরের পেশায় এতবড় শিশুর জন্ম হতে দেখিনি। এটা সত্যিই অলৌকিক ঘটনা। আমার মনে হয় শুধুমাত্র ভারতেই নয়, গোটা বিশ্বে সদ্যজাত শিশুদের মধ্যে এখনও পর্যন্ত ওই সবচেয়ে বেশি ওজনের’। তিনি আরও বলেন, ‘আমি ব্যক্তিগতভাবে ওই বাচ্চাটিকে দেখতে গিয়েছিলাম। বাচ্চাটি হল ঈশ্বরের একটা বড় উপহার। আমি খুবই খুশি যে বাচ্চাটি ভাল আছে’।
দুই বছর আগে নন্দিনী ও অরুণের বিয়ে হয়। প্রথম সন্তানের জন্ম নিয়ে খুবই উদ্বিগ্ন ছিলেন তারা। সন্তানের জন্ম দিয়ে বাবা-মা দুইজনেই খুশি। এখন অপেক্ষা কখন নতুন অথিতিকে নিজেদের বাসায় নিয়ে যাবেন।
বিডি-প্রতিদিন/ ২৬ মে, ২০১৬/ আফরোজ