রোগীরা হাসপাতালে আসেন তাদের রোগের উপশম ঘটাতে। সুস্থ হয়ে রোগ নিরাময় করে বাড়ি ফিরে যেতে। কিন্তু জীবনের গল্প সব সময় একই রকম হয় না৷ তাই চিকিৎসা করাতে হাসপাতালে এলেও বেশ কিছু ক্ষেত্রে আর বাড়ি ফিরে যেতে পারেন না রোগীরা। হাসপাতালেই মৃত্যু হয় তাঁদের।
আমাদের দেশে সরকারি হাসপাতালগুলিতে মাঝে মধ্যেই দেখা যায় অসুস্থ রোগীকে হাসপাতালে ফেলে রেখেই দায় সারেন রোগীর পরিবার। তারপর রোগী বাঁচলেন না মারা গেলেন সেই নিয়ে মাথা ঘামান না তাঁরা। এমনভাবে দায় এড়াতে পারেন রোগীর পরিবার। কিন্তু হাসপাতাল তো আর এমন কাজ করতে পারে না।
একইভাবে দায় এড়াতে পারেনি মাদ্রিদের সোফিয়া হাসপাতাল। বর্তমানে এই হাসপাতালের জায়গায় একটি মিউজিয়াম তৈরি হলেও, এক সময় বেশ নামী হাসপাতালই ছিল এই সোফিয়া। শোনা যায়, যেসব মৃত রোগীর দেহ তাঁদের পরিবার নিতে আসত না, তাঁদের দেহ হাসপাতালের মাঠেই কবর দেওয়া হত। পরিবারের মানুষের সঙ্গ পেত না সেই মৃতরা। আর তাই বোধহয়, আজও হাসপাতালের আশেপাশেই রয়ে গিয়েছে তাদের আত্বা।
এক সময়ের এই হাসপাতাল আজ জাদুঘর হলেও, আজও তার করিডরে তিনজন সন্ন্যাসিনীকে দেখা যায়৷ কিন্তু ভয়ের ব্যাপার হল এই সন্ন্যাসিনীরা কেউ মানুষ নয়৷ প্রত্যেকেই অশরীরী৷ শুধু তাই নয়, অটোলফ বলে আজও মিউজিয়ামে আসা বহু দর্শক একটি অশরীরীর দেখা নাকি পান৷ শুধু তাই নয়, রেইনা সোফিয়া গ্যালারিতে বহু আত্মার সমাগম হয় প্রতি রাতে৷
বিডি-প্রতিদিন/তাফসীর