ঢাকা, বুধবার, ২৪ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

২০ ফুট লম্বা অজগরের কামড়ে আক্রান্ত চিড়িয়াখানার মালিক (ভিডিও)
অনলাইন ডেস্ক
সংগৃহীত ছবি

আমরা সবাই পশু পাখি ভালবাসি। অনেকেই বাড়িতে পুষে থাকে নানা রকম পশু পাখি। আবার আমাদের মধ্যে এমন অনেক মানুষ রয়েছেন যারা পশু পাখির ভিডিও দেখতেও ভালবাসেন। কিন্তু হঠাৎ যদি কোনও বন্য পশু আপনার দিকে তেড়ে আসে বা আপনাকে আঘাত করে, তাহলে আপনি কী করবেন? এবার এমনই একটি ভিডিও ভাইরাল হলো সোশ্যাল মিডিয়ায়, যা দেখে হয়তো আপনি শিউরে উঠবেন।

সম্প্রতি এক চিড়িয়াখানার মালিককে একটি ২০ ফুট লম্বা অজগর সাপ কামড়ে দেওয়ার ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। ভিডিওটি শেয়ার করেছেন চিড়িখানাটির প্রতিষ্ঠাতা জে ব্রিউয়ার। ৬ মিনিটের ওই ভিডিওটি বেশ রোমাঞ্চকর। জে ব্রিউয়ার হলেন ক্যালিফোর্নিয়ার সরীসৃপ চিড়িয়াখানার প্রতিষ্ঠাতা। ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে যে, অজগরের ডিম গুলিকে সরাতে গিয়ে অজগর সাপটি কামড়ে দেয় তার হাতে। আর সেই ভিডিয়ো আলোড়ন ফেলে দেয় সোশ্যাল মিডিয়ায়।

প্রাথমিকভাবে ভিডিওটিতে দেখা যায়- জে ব্রিউয়ার বিশাল সাপটি উন্মোচন করেছিল এবং চিড়িয়াখানায় আসা পর্যটকদের ডিমের গুচ্ছ দেখাচ্ছিল। ডিম গুলিকে বাঁচানোর তাগিদে মা সাপটি আক্রমণ করে তাকে। চিড়িয়াখানায় আসা পর্যটকদের ব্রিউয়ার যখন সাপটি সম্পর্কে ব্যাখ্যা দিচ্ছিল, তখন সাপটি শেষ পর্যন্ত আক্রমণের কয়েকটি প্রচেষ্টা রদ করার পরে তার হাতে কামড় দেয়। এমনকি জে ব্রিউয়ার-এর হাতে সাপের কামড়ের দাগও ভিডিওতে দেখানো হয়েছে।

ভিডিওটি থেকে আমরা ওই অজগর সাপটির দৈর্ঘ্য এবং প্রস্থ প্রত্যক্ষ করতে পারি। সাপটিকে টেবিলে দ্রুত হামাগুড়ি দিতেও দেখা গেছে ভিডিওতে। পরে সাপটি মাটিতেও ঘোরাফেরা করছিল এবং তা ক্যামেরায় ধরা পড়ে। জে ব্রিউয়ার নিজের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট থেকে এই ভিডিওটি পোস্ট করেছেন। তিনি এই ভিডিওটি পোস্ট করেন এবং তার সঙ্গে ক্যাপশনে লেখেন যে, "২০ ফুট সাপটি আমাকে কামড়ে দিয়েছে। ঠিক আছে, এই দৈত্যাকার পাইড মেয়েটি আমাকে কখনই পছন্দ করেনি "

তার ক্যাপশনে তিনি জানিয়েছেন, "সে শুধু মাত্র সুপার মা নন যে তার ডিম রক্ষা করছেন বরং সে একটি বন্য সাপের একটি মাত্র প্রজন্ম" তিনি জানান যে, এই বিষয়টি তার জিনকে পাগল করে তুলছে। তাঁর ধারণা, নির্বিশেষে এটি একটি সুন্দর সাপ এবং এই সাপের বাচ্চা গুলি আরও সুন্দর হবে। ভিডিওটি বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীদের কাছে।

বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ আল সিফাত



এই পাতার আরো খবর