ইতিহাস ও ঐতিহ্যে ভরপুর তুরস্ক। গত কয়েক বছর ধরে বেশ কিছু টিভি সিরিয়ালের সুবাধে আমাদের দেশেও উচ্চারিত হচ্ছে তুরস্কের ইতিহাস ও ঐতিহ্যের গল্পগাঁথাগুলো। মূলত সেই সব টিভি সিরিয়ালের মাধ্যমে তুরস্ককে আরও একবার বিশেষ করে মুসলিম বিশ্ব নতুনভাবে চিনতে শুরু করেছে। তুরস্কের অন্যতম ঐতিহ্যবাহী শহর আনতালিয়া।
তুরস্কে আইসক্রিম বিক্রেতারা ক্রেতাদের হাতে আইসক্রিম দিতে খুঁনসুটি করতে বরাবরই ভালোবাসেন। বিশেষ করে মজার ছলে বা বিভিন্ন কৌশল খাটিয়ে ক্রেতাকে ধরে রাখেন বিক্রেতারা। কিন্তু ক্রেতা কখনো রাগান্বিত বা বিরক্ত হন না। মূলত, ক্রেতারাও উপভোগ করেন বিক্রেতাদের এ কৌশল। কিন্তু সব কৌশলকে ছাপিয়ে আরও একধাপ এগিয়ে গেছেন মেহমুত ডিঙ্ক। তার বিশেষ কৌশল ও সাথে গানের তালে নাচ নিয়ে আলোচনা হচ্ছে সর্বত্র। তার জনপ্রিয়তা আনতালিয়া ছাড়িয়ে বিশ্বের নানা দেশেও ছড়িয়ে পড়েছে।
মেহমুত ডিঙ্কের ওয়েবসাইটে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, তার জন্ম তুরস্কের হাতায়া প্রদেশে। নেচে-গেয়ে তিনি ক্রেতাদের হাতে আইসক্রিম তুলে দেন। তুরস্কে তার দোকানে আসা ক্রেতারাও তার সঙ্গে নেচে-গেয়ে তারপর আইসক্রিম হাতে নেন। কিলগিন ডোনডুরমাইসে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও বেশ জনপ্রিয়। তার ভিডিওগুলো লাখ লাখ দর্শক দেখেছেন। প্রতিদিনই তার দোকানে হাজারো মানুষ ছুটে যান। শিশু থেকে বৃদ্ধ সবাই কিলগিন ডোনডুরমাইসের সঙ্গে নাচতে ভালোবাসেন। কিলগিন ডোনডুরমাইসও তা উপভোগ করেন এবং সেসবের ভিডিও প্রতিদিনই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আপলোড করেন। ইতিমধ্যে তার মিউজিক ভিডিও প্রকাশ হয়েছে। পাশাপাশি বিভিন্ন কনসার্টেও যোগ দিচ্ছেন তিনি। বর্তমানে আনাতোলিয়ায় যেসব পর্যটক আসেন তারাও খুঁজে ফেরেন এই আইসক্রিমম্যানকে। আইসক্রিম কেনা মূল উদ্দেশ্য নয়, বেশিরভাগ পর্যটকের মূলত আবদার থাকে তার সঙ্গে একটি সেলফি তোলার।
ক্রেজি আইসক্রিমম্যান মেহমুতের গান ও স্টাইল জনপ্রিয়তা পেয়েছে তুরস্কের বাইরেও। বিভিন্ন দেশের মানুষ তার গানের তালে, তার স্টাইলে নেচে সেই ভিডিও আপলোড করছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। এমনকি, পাকিস্তানে মেহমুতকে অনুসরণ করে গানের তালে বিরিয়ানি বিক্রি করতে দেখা গেছে। বাদ যায়নি আমাদের বাংলাদেশও। পূর্বাচলে চলতি মাসে শুরু হওয়া বাণিজ্য মেলায়ও ছাপ পড়েছে কিলগিন ডোনডুরমাইসের গানের সঙ্গে নৃত্যের। কয়েকটি দেশীয় আইসক্রিম কোম্পানির প্যাভিলিয়নেও এভাবে নেচে-গেয়ে আইসক্রিম বিক্রি করতে দেখা যাচ্ছে। ক্রেতা ও দর্শকরাও উপভোগ করছেন এ বিষয়টি।
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা