ঘটনাটি ভারতের। দেশটির পশ্চিম দিল্লির তিলক নগরে সম্প্রতি এক সুইস তরুণীর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে হত্যাকাণ্ডের পেছনে রয়েছে ওই তরুণীরই প্রেমিক। তারপর গ্রেফতার করা হয় ওই প্রেমিককে। তার নাম গুরপ্রীত সিং।
শুধু এই সুইস প্রেমিকাকেই নয়, আরো বিদেশি তরুণীদের নিজের জালে ফাঁসিয়েছিলেন ভারতীয় যুবক গুরপ্রীত সিং। তদন্তে এমনই তথ্য হাতে পেয়েছে দিল্লি পুলিশ।
সুইৎজারল্যান্ড থেকে প্রেমিকাকে ডেকে এনে খুনের অভিযোগ উঠেছে দিল্লির জনকপুরীর বাসিন্দা গুরপ্রীতের বিরুদ্ধে। তাকে জেরা করে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসছে।
দিল্লি পুলিশ সূত্রের খবর, গুরপ্রীতের বাবার গ্রহরত্নের ব্যবসা রয়েছে। পাশাপাশি জ্যোতিষচর্চাও করেন। পশ্চিম দিল্লিতে তাদের একটি দোকানও রয়েছে। বর্তমানে গুরপ্রীতের বাবা ফ্রান্সের প্যারিসে থাকেন। পুলিশের সন্দেহ বাবার কাছ থেকে জ্যোতিষ শিখেছিলেন গুরপ্রীত। আর সেই কৌশলকে কাজে লাগিয়ে বিদেশিনিদের প্রলুব্ধ করতেন। সুইস প্রেমিকা নীনা বার্গারের সঙ্গেও এই কৌশল ব্যবহার করে বন্ধুত্ব পাতান। তার বিশ্বাস অর্জন করেন। তারপরই নীনাকে দিল্লিতে ডেকে পাঠান।
পুলিশ জানিয়েছে, গত ১১ অক্টোবর ভারতে আসেন নীনা। পশ্চিম দিল্লির দু’টি হোটেলে ছিলেন তিনি। ১৬ অক্টোবর পর্যন্ত একটি হোটেলে ছিলেন। তারপর অন্য হোটেলে চলে যান। ১৮ অক্টোবর দিল্লি ঘোরানোর নামে তাকে খুন করেন গুরপ্রীত। ২০ অক্টোবর নীনার মরদেহ উদ্ধার হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, গুরপ্রীতের মোবাইল বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। মোবাইল থেকে বেশ কিছু বিদেশিনির নম্বর এবং কথোপকথন উদ্ধার করা হয়েছে। তবে নীনার সঙ্গে যে কথোপকথন হয়েছিল, সেগুলো মুছে ফেলেছিলেন গুরপ্রীত। সেই কথোপকথন উদ্ধারের চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ। সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া, নিউজ১৮, ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস, পিটিআই
বিডি প্রতিদিন/আজাদ