ঢাকা, রবিবার, ৩০ জুন, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

পার্লামেন্টে ঘুমিয়ে বিপাকে সায়নী-মহুয়া
অনলাইন ডেস্ক

ভোটের মাঠের লড়াইয়ের পর এবার সোশ্যাল মিডিয়ার লড়াইয়ে নেমেছে বিজেপি ও তৃণমূল। 

বিতর্কের সূত্রপাত একটি ছবি ঘিরে। ছবিতে দেখা যাচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ থেকে নির্বাচিত তৃণমূলের তিন নারী সংসদ সদস্য কৃষ্ণনগরের মহুয়া মৈত্র, মেদিনীপুরের জুন মালিয়া এবং যাদবপুর থেকে জয়ী সায়নী ঘোষকে। মহুয়ার চোখ বোজা। মাথাটা পিছন দিকে হেলানো। জুন সামনের দিকে তাকিয়ে। আর সায়নীর চোখ নীচের দিকে নামানো। 

সেই ছবি দিয়ে বিজেপি এবং বামেদের অনেকেই সমাজমাধ্যমে পোস্ট করে লেখেন, ‘কৃষ্ণনগর আর যাদবপুর ঘুমিয়ে পড়েছে।’ পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির মুখপাত্র তরুণজ্যোতি তিওয়ারিও তার ফেসবুকে এই ছবিটি পোস্ট করেছিলেন। যদিও বামেদের প্রথম সারির কাউকে সেভাবে এই ছবি নিয়ে বিদ্রুপ করতে দেখা যায়নি। তবে অনেক বাম সমর্থক এই ছবির সঙ্গে চন্দ্রবিন্দুর ‘ঘুম ঘুম ক্লাসরুম’ জুড়ে দিয়েও সমাজমাধ্যমে পোস্ট করেছিল।

ছবিটি ভাইরাল হতেই পাল্টা ময়দানে নামে তৃণমূলের আইটি সেল। ‘আসল’ ভিডিও পোস্ট করে পশ্চিবঙ্গের শাসকদল দেখাতে চায়, বিজেপি ছবি বিকৃত করেছে। তৃণমূলের পক্ষ থেকে সংসদ টিভির যে ফুটেজ ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে, তাতে দেখা যাচ্ছে আম আদমি পার্টির সাংসদ অরবিন্দ সওয়ান্ত সংসদে বক্তৃতা করছেন। ঠিক তার পিছনের সারিতেই বসে রয়েছেন মহুয়া, জুন এবং সায়নী। তৃণমূলের দাবি, ওই ফুটেজ থেকেই স্পষ্ট একটি মুহূর্তকে স্ক্রিনশট নিয়ে বিজেপি কুৎসা করতে নেমেছে। তৃণমূলের বাহিনী ওই ফুটেজ দিয়ে লেখা শুরু করেছে, ‘তৃণমূল মানে জেগে থাকা।’

এ প্রসঙ্গে তরুণজ্যোতি বলেন, ‘তৃণমূলের মুখে এত কথা মানায় না। ওদের সংসদ সদস্যরা কত দিন সংসদে যান সেটা ওরা আগে জনসমক্ষে জানান। ওদের নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের তো সংসদে উপস্থিতি সারা দেশে সবার থেকে কম।’ কিন্তু ছবি ‘বিকৃত’ করার বিষয় নিয়ে তরুণজ্যোতি কোনও মন্তব্য করেননি।

তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ বলেন, ‘বিজেপি দলটাই বিকৃত মানসিকতার। বিকৃত রাজনীতির। তাই ওরা এ সবই করে। এগুলো হাস্যকর। কথা বলতে বলতে সবার চোখের পলক পড়ে। সেই ছবি দিয়ে কেউ যদি বলে ঘুমোচ্ছে, সেটা কি কোনও কাজের কথা হল? আজকের দিনে এ সব করে মানুষকে কখনও ভুল বোঝানো যায়?’

 

বিডি প্রতিদিন/নাজমুল



এই পাতার আরো খবর