ঢাকা, রবিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

জমে উঠছে শাহজাদপুর পৌর নির্বাচন
আব্দুস সামাদ সায়েম, সিরাজগঞ্জ
মেয়র প্রার্থী তরু লোদী (বাঁয়ে), সজল, মোক্তার হোসেন, এমরান হোসেন ও নজরুল ইসলাম।

নির্বাচনের দিনক্ষণ যত ঘনিয়ে আসছে, ততই জমে উঠছে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর পৌরসভার নির্বাচন। আনুষ্ঠানিকভাবে প্রচারণা শুরু না হলেও ইতিমধ্যে মেয়র-কাউন্সিলর প্রার্থী ও সমর্থকদের মৌখিক প্রচার-প্রচারণায় মুখরিত হয়ে উঠছে পৌর এলাকা।

চায়ের আড্ডায় প্রার্থীর দোষ-গুণ নিয়ে বিশ্লেষণ করছেন সাধারণ ভোটাররা। পছন্দের প্রার্থী নিয়ে একে অপরের সাথে মাঝে-মধ্যে কড়া আলোচনা-সমালোচনাও করছেন।

আবার প্রার্থীরা পাড়া-মহল্লায় গিয়ে উঠান বৈঠক, চা-চক্র ও কুশলাদি বিনিময়সহ সামাজিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে ভোট প্রার্থনা করছেন।

এছাড়াও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকেও নানা পোস্ট করে ভোট প্রার্থনা করছেন তারা। প্রার্থীরা শাহজাদপুরকে আধুনিক পৌরসভা হিসেবে সকল নাগরিক-সুবিধা নিশ্চিতসহ নানা প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন।

এবার মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন পাঁচজন প্রার্থী। তারা হলেন-আওয়ামী লীগ থেকে মনির আক্তার তরু লোদী, বিএনপি থেকে মাহমুদুল হাসান সজল, ইসলামী আন্দোলন থেকে খন্দকার এমরান হোসেন, জাতীয় পার্টির মোক্তার হোসেন ও আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে সদ্য বিএনপি থেকে আওয়ামী লীগে যোগদানকারী সাবেক মেয়র নজরুল ইসলাম।

এছাড়াও নয়টি ওয়ার্ডের বিপরীতে সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৪২ জন এবং তিনটি সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদে ১৬ জন প্রার্থী নির্বাচনে লড়ছেন। আগামী ২৮ ডিসেম্বর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ২৫টি কেন্দ্রে ইভিএমের মাধ্যমে ৫১ হাজার ৮৬ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।

বিএনপি প্রার্থী মাহমুদুল হাসান সজল বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচন হলে বিএনপি বিপুল ভোটে জয়ী হবে। নির্বাচিত হলে শাহজাদপুর পৌরসভাকে আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্পন্ন পৌরসভা গড়ে তোলা হবে। 

আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মনির আক্তার তরু লোদী জানান, নির্বাচনে জয়ী হলে আধুনিক ডিজিটাল পৌরসভা গঠনে কাজ করে যাব। সাধারণ নাগরিক যেন হাতের মুঠোয় তাদের কাঙ্খিত সেবা পেয়ে থাকে, এমন ডিজিটাল পৌরসভা গঠন করা হবে। 

এছাড়া মেয়র নির্বাচিত হলে সন্ত্রাস ও মাদকমুক্ত পৌরসভা গঠন করা হবে বলেও জানান ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী খন্দকার এমরান।

বিডি প্রতিদিন/এমআই



এই পাতার আরো খবর