ঢাকা, শনিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

জমে উঠেছে পীরগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচন
আব্দুল লতিফ লিটু, ঠাকুরগাঁও
পীরগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনের মেয়র প্রার্থীরা।

শেষ মুহূর্তে জমে উঠেছে ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ পৌরসভার নির্বাচন। পৌষের শীতকে হার মানিয়ে প্রার্থীরা ছুটছেন ভোটারদের দ্বারে দ্বারে। এ পৌরসভায় চেয়ারম্যান পদে ৬ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মনোনীত প্রার্থীর বাইরে আছেন বিদ্রোহী ও স্বতন্ত্র প্রার্থী।

তাই অভিযোগ পাল্টা অভিযোগও আছে প্রার্থীদের বিরুদ্ধে। ইতিমধ্যে নির্বাচন কমিশন একাধিক ভোট কেন্দ্র গুছিয়ে নিয়েছেন। এ পৌরসভার সবকটি নির্বাচনে অনুষ্ঠিত হবে ইভিএমের মাধ্যমে। অনেক ভোটারের অভিযোগ কোনোদিন ইভিএমে ভোট প্রদান করেননি তারা। তাতে কতটুকু সঠিক ভোট হবে তা নিয়ে সংশয়ে ভোটার ও প্রার্থীরা।

আগামী ২৮ ডিসেম্বর ঠাকুরগাঁও জেলার পীরগঞ্জ উপজেলায় অনুষ্ঠিত হবে পৌর নির্বাচন। দিন যতই ঘনিয়ে আসছে প্রার্থীদের ব্যস্ততা বাড়ছে। চায়ের কাপ থেকে সর্বত্র আলোচনা চলছে কে হাসবে বিজয়ের হাসি। তবে ভোটাররা পৌরসভার রাস্তাঘাট, বিদ্যুৎ, ড্রেনেজ ব্যবস্থার যিনি উন্নয়ন করবেন তাকেই ভোট দেওয়ার চিন্তা-ভাবনা করছেন।

তীব্র শীত উপেক্ষা করে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত প্রার্থীরা ছুটছেন ভোটারদের দ্বারে দ্বারে। এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে । পৌর এলাকার উন্নয়ন আর পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি  দিচ্ছেন তারা। ভোটাররাও প্রত্যাশা অনুযায়ী প্রাপ্তির হিসাব কষছেন। 

প্রথম শ্রেণির পীরগঞ্জ পৌরসভার মোট ভোটার ২১ হাজার ১৭৯ জন। এর মধ্যে পুরুষ ১০ হাজার ৪৭ জন আর মহিলা ১০ হাজার ৬৩২ জন। এ পৌর সভায় মেয়র পদে আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি ও স্বতন্ত্র থেকে ছয়জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

এর মধ্যে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে লড়ছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ইকরামুল হক ও বিএনপির বিদ্রোহী উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি জয়নাল আবেদিন। আর আওয়ামী লীগের বর্তমান মেয়র কশিরুল আলম দলীয় মনোনয়নে নৌকা মার্কা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছেন।

এদিকে, সাবেক এমপি ইমদাদুল হকের ছোটভাই একরামুল হক বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও তার পক্ষেই বেশিরভাগ নেতাকর্মী কাজ করছেন। কাজেই বিদ্রোহী প্রার্থী থাকায় বেশ বেকায়দায় রয়েছেন নৌকার প্রার্থী কসিরুল আলম।

অপরদিকে, বিএনপি মনোনীত প্রার্থী রেজাউল করিম রাজা মনে করছেন স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ ভোট হলে তিনি নির্বাচিত হবেন। জাপার অধ্যাপক তৈয়ব আলী জানান, পীরগঞ্জ পৌরসভা গঠনের ৩০ বছর অতিবাহিত হলেও পৌরসভার উল্লেখ্যযোগ্য উন্নয়ন হয়নি।

দলীয় সিদ্ধান্তে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী একরামুল হককে দল থেকে অব্যাহতি এবং বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী জয়নাল আবেদীনকে দল থেকে বহিষ্কার করা হলেও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে শেষ পর্যন্ত ওই ২ প্রার্থীর মাঝে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করছেন অনেকে।

জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা জিলহাস উদ্দিন জানান, প্রথম ধাপের নির্বাচনে পীরগঞ্জ পৌরসভার ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ ভোট গ্রহণের জন্য ইতিমধ্যে সব ধরনের প্রস্তুতি চলছে।

ছয়জন মেয়র প্রার্থী ছাড়াও পীরগঞ্জ পৌরসভায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৩২ জন কাউন্সিলর ও ১২ জন মহিলা কাউন্সিলর। কে হাসবেন বিজয়ের হাসি, তা নির্ধারিত হবে আগামী ২৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত নির্বাচনের মাধ্যমে।

বিডি প্রতিদিন/এমআই



এই পাতার আরো খবর