আগামী ২৮ ডিসেম্বর শাহজাদপুর পৌর নির্বাচন। নির্বাচনে মেয়রপদে চারজন প্রার্থী লড়াই করছেন। তারা হলেন- আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মনির আক্তার খান তরুলোদী, বিএনপি মনোনীত প্রার্থী মাহমুদুল হাসান সজল, জাতীয় পার্টি মনোনীত প্রার্থী মোক্তার হোসেন ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনোনীত প্রার্থী খন্দকার ইমরান হোসেন।
শেষ মুহূর্তে আওয়ামী লীগ ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ প্রার্থী প্রচারণার মাঠে থাকলেও বিএনপি প্রচার-প্রচারণার মাঠে নেই। আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী সকাল থেকে রাত বিভিন্ন পাড়া-মহল্লায় মিছিল-মিটিং-মাইকিংসহ ভোটারদের কাছে ভোট প্রার্থনা করছেন। নৌকা মার্কার পোস্টার ছেয়ে গেছে পুরো পৌরসভা। এছাড়াও কাউন্সিল প্রার্থীরাই প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। অন্যদিকে বিএনপি শিবিরে নেই কোন প্রচার-প্রচারণা। প্রার্থী বা তার সমর্থকরা নেই মাঠে। এমনকি পৌরসভায় নেই কোন পোস্টার।
বিএনপি প্রার্থী মাহমুদুল হাসান সজল বলছেন, সরকার দলীয় প্রার্থীর অব্যাহত ভয়ভীতি-হুমকির কারণে বিএনপি নেতাকর্মীরা মাঠে নামতে পারছে না। গত ১৪ তারিখে প্রচারণাকালে রূপপুরে হামলা চালিয়ে আমাকে ও আমার সমর্থনদের মারপিট করেছে। প্রতিদিন বিএনপি কর্মীদের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে হুমকি প্রদর্শন করছে। হুমকি-বাধা ও লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড বাস্তবায়নের জন্য নির্বাচন অফিসার কার্যালয়ে অভিযোগ দিলেও কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। এ অবস্থায় সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না বলে তিনি মনে করছেন।
তবে আওয়ামী লীগ প্রার্থী মনির হোসেন তরু লোদী জানান, কাউকে প্রচার-প্রচারণায় বাঁধা দেয়া হয়নি। নৌকাকে বিজয়ী করতে দলীয় নেতাকর্মী নিয়ে রাত-দিন মাঠে রয়েছি।
জেলা রিটার্নিং অফিসার ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. আবুল হোসেন জানান, শাহজাদপুরে কিছু অভিযোগ পেয়েছি। ব্যবস্থা গ্রহণও করা হয়েছে। তবে তিনি বলেন, একটি সুষ্ঠ নির্বাচন উপহার দেয়ার শুধু নির্বাচন কমিশন একার পক্ষে সম্ভব নয়। এর সাথে অন্যান্য যে প্রতিষ্ঠান যেমন পুলিশ ও প্রশাসনসহ যে সকল প্রতিষ্ঠান জড়িত তারা যদি সঠিক দায়িত্ব পালন করে তবেই সুষ্ঠ নির্বাচন সম্ভব।
বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর