ঢাকা, শনিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

ধামরাইয়ে দুই ওয়ার্ডে নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতা, আহত ৩০
ধামরাই (ঢাকা) প্রতিনিধি:

ঢাকার ধামরাই পৌরসভা নির্বাচনে পরবর্তী ব্যাপক সহিংসতা দেখা দিয়েছে। দুটি ওয়ার্ডে হামলা ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এতে আহত হয়েছে প্রায় ৩০ জন। উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে ওই এলাকায়। পরিস্থিতি শান্ত রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

জানা গেছে. ধামরাইয়ে গত ২৮ ডিসেম্বর পৌরসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এতে সকল ওয়ার্ডেই সুন্দর ভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলেও ৮ ও ৯নং ওয়ার্ডে নির্বাচনী ফলাফল ঘোষণার পর চরম উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। 

গত দুদিন ধরেই ওই এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। মঙ্গলবার রাতে ৯ নং ওয়ার্ডে বিজয়ী পৌর কাউন্সিলর আবু সাইদ ও প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আরফান আলীর লোকজনদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এসময় কয়েকটি বাড়ি ভাঙচুর করা হয়। এতে উভয় পক্ষের কমপক্ষে ২৫জন আহত হন।

এদিকে ৮নং ওয়ার্ডে ফল পাল্টানোর অভিযোগ এনে জাহাঙ্গীর আলম বিক্ষোভ মিছিল শুরু করে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ওই এলাকায় ব্যাপক সংঘর্ষ চলে। এতে কয়েকজন আহত হন। 

হামলার শিকার জেলা পরিষদের নারী সদস্য নাছিমা আক্তারের স্বামী আজগর আলী জানান, তাকে মারধর করে তার ব্যবহৃত প্রাইভেটকার ভাঙচুর করা হয়েছে। হামলায় রেজাউল করিমে, তার মেয়ে রিমি, স্ত্রী রুবি ও তার বাবা সানোয়ারসহ অনেকে জানান, কি কারনে তাদের মারধর করা হয়েছে তা এখনও তারা সঠিক জানেনা। 

এসময় প্রার্থী আরফান উদ্দিন অভিযোগ করেন, আমার নির্বাচন করায় ক্ষীপ্ত হয়ে আবু সাইদের নির্দেশে তাদের লোকজন আমার লোকের উপর হামলা ও ভাংচুর করেছেন। এঘটনায় ধামরাই থানায় কয়েকটি অভিযোগ দেয়া হয়েছে। 

তবে কাউন্সিলর আবু সাইদ হামলার কথা অস্বীকার করে ধামরাই প্রেসক্লাবে উপস্থিত হয়ে বলেন, আমার সাথে ভোটে হেরে গিয়ে আরফান আলীর লোকজনই আমার লোকের উপর হামলা করেছেন। কয়েকজন গুরুতর আহত হয়ে সাভার এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে ভতি আছেন বলে জানান তিনি।

ধামরাই থানার ওসি দীপক চন্দ্র সাহা জানান, হামলা ও ভাংচুরের ঘটনায় অভিযোগ পেয়েছি। দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। আর ওই দুই ওয়ার্ডে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।

বিডি প্রতিদিন/হিমেল



এই পাতার আরো খবর