ঢাকা, রবিবার, ১৮ আগস্ট, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

সাঁথিয়া পৌর নির্বাচনে স্থানীয় এমপির বিরুদ্ধে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ
পাবনা প্রতিনিধি

পাবনার সাঁথিয়া পৌরসভা নির্বাচনে স্থানীয় সংসদ সদস্য ও সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকু ও তার পুত্র যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আসিফ শামস রঞ্জনের বিরুদ্ধে আচরণ বিধি লংঘন ও ভোটারদের ভয়ভীতি প্রদর্শনের অভিযোগ করেছেন বিএনপি প্রার্থী সিরাজুল ইসলাম। বুধবার দুপুরে পাবনা প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব অভিযোগ করেন। নির্বাচন কমিশনের নিকট এ বিষয়ে বারবার অভিযোগ করেও কোন ফল মিলছে বলেও অভিযোগ করেন উপস্থিত বিএনপি নেতারা।

লিখিত বক্তব্যে বিএনপি প্রার্থী সিরাজুল ইসলাম বলেন, পাবনা-১ আসনের সংসদ সদস্য শামসুল হক টুকু পৌর নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর থেকেই নির্বাচনী এলাকায় অবস্থান করে ক্রমাগত আচরণবিধি লংঘন করে চলেছেন। গত ৪ জানুয়ারি ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে সাঁথিয়া ছেচানিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে উপস্থিত হয়ে নৌকার পক্ষে ভোট চান। এরপর গত ৯ জানুয়ারি উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে, ১০ জানুয়ারী বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের সমাবেশে, ১১ ও ১২ জানুয়ারি সাঁথিয়ায় নৌকার প্রার্থী মাহবুবুল আলম বাচ্চুর নির্বাচনী সমাবেশে তিনি নৌকার পক্ষে প্রচারণা চালান। প্রতিটি ঘটনায় নির্বাচনী রিটানিং অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েও কোন লাভ হয়নি।

সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি প্রার্থী সিরাজুল ইসলাম ছাড়াও বক্তব্য রাখেন ধোপাদহ ইউপি চেয়ারম্যান সালাহউদ্দিন খান, সাঁথিয়া উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক শামসুর রহমান, ইডেন কলেজের সাবেক ভিপি খায়রুন্নাহার মিরু। 

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত বিএনপি নেতারা দাবী করেন, সংসদ সদস্য শামসুল হক টুকু ও তার ছেলে রঞ্জনের উষ্কানীতে উশৃংখল সন্ত্রাসীরা প্রকাশ্যে সাঁথিয়া পৌর এলাকায় সশস্ত্র মহড়া দিয়ে ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে যেতে নিষেধ করছে। এমন পরিস্থিতিতে সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে আইনগত ব্যবস্থা নিতে নির্বাচন কমিশনের নিকট দাবি জানান তারা। পাশাপাশি, ভোটের দিন সকালে কেন্দ্রে ব্যালট পাঠানোরও দাবি জানিয়েছেন তারা।

তবে, নির্বাচনে প্রভাব বিস্তারের অভিযোগ সত্য নয়, বরং বিএনপির কর্মীরাই আওয়ামী লীগ কর্মীদের পিটিয়ে হাসপাতালে পাঠিয়েছে বলে দাবি করেছেন শামসুল হক টুকু এমপি। তিনি বলেন, দলীয় কর্মসূচি ও সরকারি অনুষ্ঠানে আমি বেশ কয়েকবার সাঁথিয়া গিয়েছি, মানুষের সাথে কথাও বলেছি, তবে তা নির্বাচনী আচরণবিধি মালা ভঙ্গ করে নয়। নির্বাচন প্রভাবান্বিত করার কোন চেষ্টা আমি বা আমার ছেলে করছি না।

তিনি আরও বলেন, নির্বাচনকালীন সময়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নির্বাচন কমিশনের অধীন। আমি কোন হস্তক্ষেপ করিনি। মিথ্যে অভিযোগের পুরনো সংস্কৃতি থেকেই বিএনপি নেতারা এসব অভিযোগ করছেন।

সাঁথিয়া পৌরসভা নির্বাচনের রিটানিং অফিসার ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান অভিযোগ প্রাপ্তির সত্যতা স্বীকার করে বলেন, বিএনপি প্রার্থীর অভিযোগ তদন্তে তিনজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

বিডি প্রতিদিন/আল আমীন



এই পাতার আরো খবর