ঢাকা, বুধবার, ১৭ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

ঝিনাইদহ পৌরসভা নির্বাচন সম্পন্ন করতে নির্দেশ
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি

দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর ঝিনাইদহ পৌরসভা নির্বাচন দ্রুত সম্পন্ন করতে নির্বাচন কমিশনকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট বিভাগের একটি দ্বৈত বেঞ্চ। মঙ্গলবার দুপুরে বিচারপতি নাইমা হায়দারের নেতৃত্বে গঠিত ভার্চুয়াল বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে রিটকারী পক্ষের আইনজীবী ব্যারিস্টার ইমাম হোসেন জানান, পূর্ণাঙ্গ রায় পেলে আরো বিস্তারিত বলা যাবে।

আটজন বিবাদীর মধ্যে অন্যতম ঝিনাইদহ পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি বাবু জীবন কুমার বিশ্বাস জানান, ঝিনাইদহ পৌরসভায় নির্বাচন হতে আইনি কোনো বাধা নেই।

নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে, ২০১১ সালের ১৩ মার্চ ঝিনাইদহ পৌরসভার নির্বাচন হয়। মেয়াদ শেষ হয় ২০১৬ সালের ২ এপ্রিল। কিন্তু চার বছরের বেশি সময় মামলা জটিলতায় ঝিনাইদহ পৌরসভায় নির্বাচন হয়নি। পৌরসভা আইন অনুযায়ী, পৌরসভার মেয়াদ শেষ হওয়ার আগের ৯০ দিনের মধ্যে ভোট গ্রহণের বাধ্যবাধকতা রয়েছে।

এদিকে, জরুরি ভিত্তিতে পুরনো সীমানায় ঝিনাইদহ পৌরসভায় নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদাকে চিঠি দেন ঝিনাইদহ-২ আসনের এমপি তাহজীব আলম সিদ্দিকী সমি। তিনি সিইসির সঙ্গে সাক্ষাৎ করে এই চিঠি দিয়েছিলেন।

চিঠিতে বলা হয়েছে, ঝিনাইদহ পৌরসভায় গত ২০১১ সালের মার্চে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এতে সাইদুল করিম মিন্টু মেয়র হিসেবে নির্বাচিত হন। পরে পাগলাকানাই ও সুরাট ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এবং পৌরসভা মেয়রের সম্মতিতে সুরাট ইউনিয়নের লাউদিয়া, পাগলাকানাই ইউনিয়নের গয়েশপুর, কোড়াপাড়া মৌজাকে পৌরসভায় অন্তর্ভুক্ত করার জন্য স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেন। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় ২০১৫ সালের ৫ এপ্রিল এলাকা সম্প্রসারণের খসড়া গেজেট প্রকাশ করে। কিন্তু কোনো আপত্তি না পড়ায় ২২ জুলাই চূড়ান্ত গেজেট প্রকাশ করা হয়।

পরে সদর উপজেলার পাগলাকানাই ইউপি চেয়ারম্যান এ কে এম নজরুল ইসলাম, সুরাটের চেয়ারম্যান কবির হোসেন জোয়ারদার ও জাহাঙ্গীর আলম দুটি রিট পিটিশন দায়ের করেন। হাইকোর্ট দুটি পিটিশনেরই তিন সপ্তাহের রুল জারি করেন। রুল জারির ফলে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে ২০১৬ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন জেলা প্রশাসকের কাছে জবাব চেয়ে পত্র দেন।

জেলা প্রশাসক ২০১৬ সালের ৭ এপ্রিল জবাব দেন। এরপর আর হাইকোর্টের রুলের জবাব দেওয়া হয়নি। দীর্ঘদিন রিট দুটি মোকাবিলা না করায় কার্যতালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়। অবশেষে দীর্ঘদিন পর মঙ্গলবার দুপুরে উচ্চ আদালতের দেওয়া রায়ে ঝিনাইদহ পৌরসভার নির্বাচনী বাধা দূর হলো।

বিডি প্রতিদিন/এমআই



এই পাতার আরো খবর