ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৩ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

অরিত্রীকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা মামলায় বাবার সহকর্মীর সাক্ষ্য
অনলাইন ডেস্ক
অরিত্রী অধিকারী। ফাইল ছবি

রাজধানীর ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের নবম শ্রেণির ছাত্রী অরিত্রী অধিকারীকে আত্মহত্যার প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে করা মামলায় অরিত্রীর বাবা দিলীপ অধিকারীর সহকর্মী সঞ্জয় মিত্র সাক্ষ্য দিয়েছেন।

সোমবার তিনি ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ রবিউল আলমের আদালতে এ সাক্ষ্য দেন। তিনি জব্দ তালিকার সাক্ষী। এ নিয়ে মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে মোট চারজনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হলো। পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ৩ মার্চ ধার্য করেছেন আদালত। এর আগে গত ৫ জানুয়ারি অরিত্রীর মা বিউটি অধিকারীকে জেরা করেন আসামিপক্ষের আইনজীবীরা।

অরিত্রীর আত্মহত্যার ঘটনায় ২০১৮ সালের ৪ ডিসেম্বর রাজধানীর পল্টন থানায় তার বাবা দিলীপ অধিকারী বাদী হয়ে মামলা করেন। এরপর ২০১৯ সালের ২০ মার্চ দুই শিক্ষককে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পরিদর্শক কামরুল হাসান তালুকদার। আসামিদের নির্দয় ব্যবহার ও অশিক্ষকসুলভ আচরণে অরিত্রী অধিকারী আত্মহত্যায় প্ররোচিত হয় বলে অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়।  

২০১৯ সালের ১০ জুলাই এই দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে, বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। এ মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৩০৫ ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে। এ ধারায় মৃত্যুদণ্ড, যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বা ১০ বছর কারাদণ্ডের বিধান আছে। 

মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, ২০১৮ সালের ৩ ডিসেম্বর পরীক্ষা চলাকালে অরিত্রীর কাছে মোবাইল ফোন পান শিক্ষক। মোবাইল ফোনে নকল করেছে- এমন অভিযোগে অরিত্রীর মা-বাবাকে নিয়ে স্কুলে যেতে বলা হয়। দিলীপ অধিকারী তার স্ত্রী ও মেয়েকে নিয়ে স্কুলে গেলে ভাইস প্রিন্সিপাল তাদের অপমান করে কক্ষ থেকে বের হয়ে যেতে বলেন। অধ্যক্ষের কক্ষে গেলে তিনিও একই রকম আচরণ করেন। তখন অরিত্রী দ্রুত অধ্যক্ষের কক্ষ থেকে বের হয়ে যায়। পরে শান্তিনগরে বাসায় গিয়ে তার বাবা দেখেন, অরিত্রী তার কক্ষে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ওড়নায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় ঝুলছে।’

বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ

 

 



এই পাতার আরো খবর