ঢাকা, মঙ্গলবার, ১ অক্টোবর, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

সব শিক্ষক-কর্মচারীকে টিকা দেওয়ার পরই খোলা হবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান
অনলাইন ডেস্ক
ফাইল ছবি

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ধাপে ধাপে  খোলার পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছে সরকার। আগামী সেপ্টেম্বরের শেষ নাগাদ বিশ্ববিদ্যালয় খোলার ব্যাপারে চলছে বিভিন্ন পর্যায়ে চিন্তা-ভাবনা। এছাড়া করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হলে একই সময়ে এবারের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের সরাসরি ক্লাস শুরুর ব্যাপারটিও ভাবনায় থাকছে। তবে মধ্য নভেম্বরে ছোট পরিসরে এসএসসি এবং ডিসেম্বরের শুরুতে এইচএসসি পরীক্ষা শেষে পুরোদমে স্কুল-কলেজও খুলে দেওয়ার বিষয়ে সরকারের উচ্চ পর্যায়ে আলোচনা চলছে।

সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, সব শিক্ষক-শিক্ষার্থীকে দ্রুত টিকা দেওয়ার পরই বিশ্ববিদ্যালয় খোলা হবে। অন্যদিকে সব শিক্ষক-কর্মচারীকে টিকার আওতায় আনার পরই খোলা হবে স্কুল-কলেজ। ফলে সব কিছুই নির্ভর করছে টিকাপ্রাপ্তি, টিকা দেওয়া এবং করোনা পরিস্থিতির উন্নতির ওপর।

এদিকে গতকাল বুধবার শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, ‘করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হলে আমরা সেপ্টেম্বরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলতে চাই এবং নভেম্বর-ডিসেম্বরে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা নেওয়ার পরিকল্পনাও আমাদের রয়েছে।’

বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সচিব ড. ফেরদৌস জামান বলেন, ‘বিশেষ করে গণটিকা কর্মসূচি শুরুর পর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ব্যাপকভাবে টিকা নিচ্ছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯০ শতাংশ শিক্ষকই টিকা নিয়ে নিয়েছেন। এছাড়া রেজিস্ট্রেশন করা প্রায় দুই লাখ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীর বেশির ভাগই প্রথম ডোজ নিয়েছেন। এক-দেড় মাসের মধ্যে প্রায় সব শিক্ষার্থীরই দুই ডোজ টিকা নেওয়া শেষ হবে। আর এর মধ্যে করোনা সংক্রমণও কমে আসতে পারে। আমরা আশা করছি, সেপ্টেম্বরের শেষ নাগাদ বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দিতে পারব। এরই মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোও সেভাবেই প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে।’

সূত্র জানায়, শিক্ষা মন্ত্রণালয় গেল বছরের শেষদিককার করোনা পরিস্থিতির কথা চিন্তা করে সব কিছুর পরিকল্পনা করছে। কারণ ওই সময়ে সংক্রমণের হার ৫ শতাংশের কাছাকাছি ছিল। তবে গেল বছরের চেয়ে এবার অনেক বেশি মানুষ টিকা নিয়েছে। এছাড়া যেভাবে টিকা আসছে তাতে আগামী দু-তিন মাসে আরো অনেক মানুষেরই টিকা নেওয়া শেষ হবে। ফলে এবার নভেম্বর-ডিসেম্বরে গত বছরের চেয়ে একটু বেশি সংক্রমণ থাকলেও পুরোদমে স্কুল-কলেজ খুলে দিতে চায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। আর করোনা সংক্রমণের হার বেশি থাকলেও সব শিক্ষক-শিক্ষার্থীর টিকা নেওয়া থাকলে বিশ্ববিদ্যালয় খুলতে বাধা থাকবে না।

গত শনিবার শিক্ষা সাংবাদিকদের এক অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি জানিয়েছিলেন, সরকারি পর্যায়ের প্রায় সব শিক্ষকই টিকা নিয়েছেন। বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের তিন লাখ ৬৩ হাজার ২২২ শিক্ষক-কর্মচারীর মধ্যে টিকা নিয়েছেন দুই লাখ ৭৮ হাজার ৪২৬ জন। বাকি আছেন প্রায় ৮৪ হাজার শিক্ষক। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৪ হাজারের বেশি শিক্ষক টিকার জন্য নিবন্ধন করেছেন, তাঁদের মধ্যে টিকা নিয়েছেন ৩০ হাজারেরও বেশি। আগামী চার-পাঁচ দিনের মধ্যেই সব শিক্ষকই টিকা নিয়ে নেবেন আশা করা হচ্ছে।

তিনি আরো জানিয়েছিলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের এক লাখ ৭৯ হাজার ২৬১ শিক্ষার্থী টিকার জন্য নিবন্ধন করেছেন। এর মধ্যে প্রথম ডোজ টিকা পেয়েছেন ৭৯ হাজার ৯১৪ জন। দুই ডোজ পেয়েছেন ছয় হাজার ৭২ জন।

ইউজিসি সূত্র জানায়, সব শেষ প্রায় দুই লাখ শিক্ষার্থী রেজিস্ট্রেশন করেছেন। গণটিকা শুরু হওয়ার পর গেল কয়েক দিন ব্যাপকসংখ্যক শিক্ষার্থী টিকা নিয়েছেন।

বিডি প্রতিদিন/আরাফাত



এই পাতার আরো খবর