ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৬ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

নর্থ সাউথের ট্রাস্টিদের বিলাসবহুল গাড়ি, আপিল বিভাগের বিস্ময়
নিজস্ব প্রতিবেদক
ফাইল ছবি

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি (এনএসইউ)-এর জন্য কেনা দামি ও বিলাসবহুল গাড়ি বিশ্ববিদ্যালয়টির বোর্ড অব ট্রাস্টি সদস্যরা ব্যবহার করছেন জেনে বিস্ময় প্রকাশ করেছে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। 

ট্রাস্টিদের জন্য কেনা সাড়ে ৩ কোটি টাকার রেঞ্জ রোভার গাড়ির বিষয়টি মঙ্গলবার (১৭ আগস্ট) সর্বোচ্চ আদালতের নজরে আনেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। এতে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন বিচারপতি ও আইনজীবীরা।

প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনসহ পাঁচ বিচারপতির আপিল বেঞ্চে ইংলিশ মিডিয়াম সানিডেল স্কুলের ভ্যাট ট্যাক্স-সংক্রান্ত একটি মামলার শুনানিকালে নর্থ সাউথের রেঞ্জ রোভার  প্রসঙ্গও তোলেন অ্যাটর্নি জেনারেল।  সানিডেল স্কুলের পক্ষে ব্যারিস্টার আহসানুল করিম শুনানি করেন। শুনানিকালে তিনি বলেন, স্কুলের ভ্যাট-ট্যাক্স অভিভাবকদের থেকে নিয়েই সরকারকে পরিশোধ করতে হবে। নইলে কীভাবে ভ্যাট পরিশোধ করবে।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ভ্যাট প্রসঙ্গ এলে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন বলেন, ‘সেদিন পত্রিকায় দেখলাম একটি প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি সাড়ে ৩ কোটি টাকার পাঁচটি না সাতটি গাড়ি কিনেছে। গাড়িগুলো তাদের ট্রাস্টিদের দেওয়া হয়েছে।’ 

তখন আপিল বিভাগের বিচারপতি ইমান আলী বলেন, ‘এটা কোন ইউনিভার্সিটি বলেন; জেনে রাখা দরকার।’ এ সময় অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘এনএসইউ’।

বিচারপতি বলেন, ‘তাহলে ট্রাস্টি হলেই তো লাভ’। এসময় প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘টাকা ইনকাম যদি বেশি হয় তাহলে তো হবেই।’

তখন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিৎ দেবনাথ বলেন, ‘অথচ চুক্তি আছে ট্রাস্টি হয়ে কোনো সুবিধা নেবে না।’ 

এসময় আইনজীবী সমিতির সম্পাদক ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল বলেন, ‘ক্যাশে নিচ্ছে না। অন্যভাবে নিল আর কি। তবে খবরে দেখলাম লজ্জায় পড়ে তারা গাড়ি ফেরত দিয়েছেন।’

নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য কেনা দামি ও বিলাসবহুল গাড়ি বোর্ড অব ট্রাস্টির সদস্যরা ব্যক্তিগতভাবে ব্যবহার করছেন। এ অভিযোগ ওঠার পর সমালোচনার মুখে এসব গাড়ি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে ফেরত দিয়েছেন নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যানসহ নয়জন সদস্য।

বিশ্ববিদ্যালয়টি পরিচালনার সঙ্গে যুক্ত শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তিদের নানারকম অনিয়মের অভিযোগের ধারাবাহিকতায় সর্বশেষ গাড়িসংক্রান্ত অনিয়মের বিষয়টি নজরে আসে। এ বিষয়ে তদন্তে নেমেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

 

বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ আল সিফাত



এই পাতার আরো খবর