দেশের কওমি অঙ্গনের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ আল-জামিয়াতুল আহলিয়া দারুল উলুম মুঈনুল ইসলাম হাটহাজারী মাদরাসায় চলছে শুরা কমিটির বৈঠক। আজ বুধবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে এ বৈঠক শুরু হয়। এতে শুরা সদস্যের মধ্যে ১৩ জন উপস্থিত রয়েছেন বলে জানা গেছে।
আজকের বৈঠকে মাদ্রাসার অর্থ ও শিক্ষা সংক্রান্ত বিষয়ে পর্যালোচনার পাশাপাশি আলোচনা সাপেক্ষে মহাপরিচালক, সহযোগী ও সহকারী মহাপরিচালক, শিক্ষা সচিব, শায়খুল হাদিস এবং মজলিসে শুরার দুটি শূন্যপদে নিয়োগ দেওয়া হতে পারে।
এ বিষয়ে মাদ্রাসার শুরা কমিটির সদস্য ও ফটিকছড়ির জামিয়া উবাইদিয়া নানুপুর মাদ্রাসার পরিচালক মাওলানা সালাহউদ্দিন নানুপুরী বলেন, ‘আজ শুরা বৈঠক অনুষ্ঠিত হচ্ছে। বৈঠকে মূলত জুনায়েদ বাবুনগরীর মৃত্যুতে যেসব পদ শূন্য হয়, সেগুলোতে নিয়োগ হবে। আলোচনা সাপেক্ষে মহাপরিচালক নিয়োগ দেওয়া হবে। এছাড়া মাদ্রাসার শিক্ষা, অর্থ ও পরিচালনা সংক্রান্ত বিষয়ে পর্যালোচনা করা হবে।’
আরেক শুরা সদস্য ও ফতেপুর নছেরুল উলুম মাদ্রাসার মহাপরিচালক মাওলানা মাহমুদুল হাসান ফতেপুরী বলেন, আজকের বৈঠকে মাদ্রাসায় মহাপরিচালক পদে নিয়োগ দেওয়া হবে। এছাড়া আলোচনা সাপেক্ষে মজলিসে শুরার দুটি শূন্যপদ এবং অন্যান্য শূন্যপদে নিয়োগ দেওয়া হতে পারে।
এদিকে চট্টগ্রাম জেলা বিশেষ শাখার (ডিএসবি) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এএসপি) আবদুল্লাহ আল মাসুম বলেন, হাটহাজারী মাদরাসায় শুরা বৈঠক ঘিরে আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, এর আগে গত বছরের ১৯ সেপ্টেম্বর মাদ্রাসাটির প্রয়াত মহাপরিচালক আল্লামা শাহ আহমদ শফীর দাফনের দিন সবশেষ শুরা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ওই বৈঠকে মহাপরিচালক নির্বাচনের পরিবর্তে তিন শিক্ষকের একটি প্যানেল নির্বাচিত করা হয়। ওই তিন শিক্ষকের নেতৃত্বে এক বছর ধরে মাদ্রাসাটি পরিচালিত হয়েছে।
এ সময়ে মাদ্রাসাটি অনেকটা হেফাজতের প্রয়াত আমির জুনায়েদ বাবুনগরীর তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হওয়ায় শফীর শূন্যতা তেমন অনুভব করা যায়নি। তবে গত ১৯ আগস্ট তিনি মারা যাওয়ার পর মাদ্রাসা পরিচালনায় আবার নতুন করে সংকট দেখা দেয়। এর মাত্র ২০ দিনের মাথায় নতুন করে সিদ্ধান্ত নিতে শুরা বৈঠক ডাকা হয়।
বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর