ঢাকা, রবিবার, ৩ নভেম্বর, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা
সিলেটের পর্যটনে হাজার কোটি টাকার ক্ষতি
শাহ্ দিদার আলম নবেল, সিলেট

প্রবাসী অধ্যুষিত সিলেট অঞ্চলের মানুষের অর্থনীতির প্রধান উৎস রেমিট্যান্স। এর পরই রয়েছে পর্যটন খাত। তবে করোনার প্রভাবে রেমিট্যান্সের গতিপ্রবাহ স্বাভাবিক থাকলেও এ সময়ে একদমই বন্ধ ছিল পর্যটন থেকে আয়। করোনার সংক্রমণ ও সর্বাত্মক লকডাউনে পর্যটন স্পট বন্ধ থাকায় গত দেড় বছরে সিলেটের পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায় প্রায় হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে এ ক্ষতি পোষানো সম্ভব নয়। আর করোনার ধাক্কা সামলাতে না পেরে অনেক পর্যটন ব্যবসায়ী নতুনভাবে বিনিয়োগে আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছেন। আবার যারা টিকে আছেন ব্যবসায়, তারা পরিস্থিতি সামাল দিয়ে এখন নতুন করে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছেন। 

পর্যটন ব্যবসার সঙ্গে সম্পৃক্তরা জানান, গত বছরের মার্চে দেশে করোনার প্রাদুর্ভাব শুরু হলে সারা দেশে বিভিন্ন বিধিনিষেধ আরোপ করে সরকার। এ সময় জনসমাগম এড়াতে পর্যটন কেন্দ্রগুলোও বন্ধ ঘোষণা করা হয়। তখন থেকেই সিলেট অঞ্চলের পর্যটন ব্যবসায় ধস নামে। মাঝখানে একবার খুলে দেওয়া হয়েছিল, কিন্তু ঘুরে দাঁড়ানোর আগেই ফের করোনার বিধিনিষেধের পাল্লায় পড়তে হয়। এ সময়ে লোকসানের কারণে অনেকের ব্যবসা গুটিয়ে নিতে হয়। অবশ্য এখন পর্যটকরা সিলেটে আসছেন, এ কারণে নতুন করে ফের ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছেন তারা। সিলেট চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি ও সিলেট মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির যৌথ এক নিরীক্ষায় দেখা গেছে, ‘করোনাকালীন হোটেল-মোটেল, রেস্ট হাউস, ট্রাভেল এজেন্সি, পরিবহনসহ সিলেট অঞ্চলের পর্যটন ব্যবসার সঙ্গে জড়িতদের সংকটময় সময় পার করতে হয়েছে। কঠোর বিধিনিষেধ চলাকালে এবং পর্যটন কেন্দ্রে যাতায়াতে নিষেধাজ্ঞার কারণে প্রতিদিন অন্তত দুই থেকে আড়াই কোটি টাকা করে ক্ষতি হয়েছে। সেই হিসাবে এই করোনাকালে সিলেট বিভাগের পর্যটন ব্যবসায় হাজার কোটি টাকারও বেশি ক্ষতি হয়েছে।’ সিলেট চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি এ টি এম শোয়েব বলেন, করোনায় প্রতিদিনই পর্যটন ব্যবসায় দুই থেকে আড়াই কোটি টাকা করে ক্ষতি হয়েছে। সিলেট হোটেল অ্যান্ড গেস্ট হাউস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সুমাত নূরী চৌধুরী জুয়েল বলেন, ‘সামনে যেহেতু শীত মৌসুম, এ সময় পরিস্থিতি যদি স্বাভাবিক থাকে তাহলে পর্যটন ব্যবসায়ীরা ক্ষতি কিছুটা হলেও পুষিয়ে নিতে পারবেন।’ আর যদি করোনা পরিস্থিতি আবারও খারাপ হয়, তবে সংকট আরও ঘনীভূত হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।’

 

বিডি প্রতিদিন/ ওয়াসিফ



এই পাতার আরো খবর