বুয়েটের আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ডের মামলায় আদালতের রায়ে ঘটনার মাস্টারমাইন্ড কথিত বড়ভাইদের জাজমেন্টে আনা হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন আসামিপক্ষের আইনজীবী ফারুক আহমেদ। হত্যা মামলার রায়ের পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় একথা বলেন তিনি।
বুধবার দুপুরে বুয়েট ছাত্র আবরার ফাহাদ রাব্বীকে পিটিয়ে হত্যা মামলায় ২০ জনকে মৃত্যুদণ্ড ও ৫ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
রায়ের পর ফারুক আহমেদ বলেন, এ মামলায় মাস্টারমাইন্ড যারা ছিলেন, তাদের আনা হয়নি। এছাড়া বুয়েটের যে নেগলেন্সি ছিল, আমরা মনে করেছিলাম যে যুক্ততর্ক উপস্থাপন করেছি আদালত সেসব জাজমেন্টে আনবেন। কিন্তু আদালত কোনো কিছু বিবেচনায় না নিয়ে ২০ জনকে মৃত্যুদণ্ড ও ৫ জনকে যাবজ্জীবন সাজার রায় দিয়েছেন।
তিনি বলেন, এখানে ফুটেজের কথা বলা হয়েছে, ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি বিশ্বাস করেছেন। আমরা আদালতের কাছে উপস্থাপন করেছি এ মামলায় ১৬৪ ধারার জবানবন্দি বিশ্বাস করে সাজা দিতে পারেন না। কিন্তু বিচারক পাঞ্জাব প্রদেশের একটি মামলার জাজমেন্ট এনেছেন, এনে আদালতে ফাইন্ডিংস দিয়েছেন।
আইনজীবী আরও বলেন, আসামি প্যানেল থেকে যে বিষয়গুলো আমরা উপস্থাপন করেছিলাম, একটাও আদালতে জাজমেন্টে আনেননি। আমাদের জেরাগুলো খণ্ডন করেননি বলে মনে করছি। পূর্ণাঙ্গ রায় পেলে বুঝতে পারবো। আমরা মনে করি জাজমেন্ট সঠিক হয়নি, আমরা উচ্চ আদালতে যাব।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মামলায় বড় ভাইদের নির্দেশে কাজটা করা হয়েছিল বলে উল্লেখ করা হয়েছে। কিন্তু বড়ভাই কারা ছিল তাদের তদন্তে আনা হয়নি। এছাড়া, বুয়েট কর্তৃপক্ষের যে নেগলেন্সির বিষয়টা ছিল, রাত ৮ টা থেকে ৩টা পর্যন্ত ঘটনা অথচ কর্তৃপক্ষ কিছুই যানে না। তাদের যে নিরাপত্তার বিষয়ে নেগলেন্সি ছিল তাদেরকেও জাজমেন্টে আনা হয়নি।
বিডি প্রতিদিন/এমআই