ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

আশরাফ যখন সাধারণ সম্পাদক ছিলেন দলে তখন গ্রুপিং ছিল না : হানিফ
নিজস্ব প্রতিবেদক

আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক প্রয়াত সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের স্মৃতিচারণ করে দলটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বলেছেন, ‌‘সৈয়দ আশরাফ যখন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন তখন দলে গ্রুপিং ছিল না, লবিং ছিল না। আমরা সৈয়দ আশরাফের নেতৃত্বে দলকে শেখ হাসিনামুখী করেছিলাম, ঐক্যবদ্ধ করেছিলাম। সৈয়দ আশরাফের মতো গ্রহণযোগ্য, সৃজনশীল নেতা বাংলাদেশে আর পাওয়া যাবে না।’ 

আজ শুক্রবার বিকালে রাজধানীর বাংলামোটরে বিবার্তা২৪ ডটনেট ও জাগরণ আইপি টিভির কার্যালয়ে বিবার্তার সম্পাদক বাণী ইয়াসমিন হাসির লেখা ‘স্বাধীনতার পঞ্চাশে প্রবন্ধ পঞ্চাশ’ বইয়ের প্রকাশনা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। বইটিতে আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফকে নিয়ে একটি লেখার প্রসঙ্গে তিনি এ কথা বলেন।

নির্বাচন কমিশন নিয়ে বিএনপি নেতাদের বক্তব্য কূটকৌশলের অংশ ও কুৎসিত অপরাজনীতি উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, তাদের (বিএনপি) লক্ষ্য দেশে অসুস্থ রাজনীতির পরিবেশ সৃষ্টি করা।

তিনি বলেন, ‘সার্চ কমিটি গঠনকে মির্জা ফখরুল বলেছেন তামাশা। অথচ বিএনপি রাষ্ট্রক্ষমতায় থাকার সময়ে কারও সাথে আলাপ না করে ইসি গঠন করেছে। বর্তমানে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে সবচেয়ে উত্তম পন্থা অনুসরণ করে নির্বাচন কমিশন গঠন করা হচ্ছে। বিএনপির লক্ষ্য ছিল না দেশে ভালো নির্বাচন কমিশন গঠন হোক। তারা চেয়েছিল আজিজ মার্কা কমিশন হোক। তাদের লক্ষ্য ছিল ইসি গঠন নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি করে দেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করা। নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে যেসব কর্মকাণ্ড হচ্ছে এর দায়ভার কি বিএনপি এড়াতে পারে?’  

জাগরণ আইপিটিভির প্রধান সম্পাদক ও গৌরব ৭১’র সাধারণ সম্পাদক এফ এম শাহীনের সঞ্চালানায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যায়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. মশিউর রহমান, কিশোরগঞ্জ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. জেড এম পারভেজ সাজ্জাদ, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির, আওয়ামী লীগের উপ-প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম হাসিব, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান শেখ আদনান ফাহাদ, আইনজীবী ও গবেষক ব্যারিস্টার ফারজানা মাহমুদ, আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানবসম্পদবিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য মাহমুদ সালাউদ্দিন চৌধুরী, বীর মুক্তিযোদ্ধা মফিজুল হক সরকার প্রমুখ।

বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ



এই পাতার আরো খবর