সরকারের উদ্দেশে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘অবিলম্বে গণমাধ্যমকর্মী খসড়া আইন প্রত্যাহার করুন। এসব কালো আইনের মাধ্যমে সংবাদপত্র ও সাংবাদিকদের সত্য প্রকাশে দমিয়ে রাখা যাবে না।’
আজ রবিবার জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) এবং ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) যৌথ আয়োজিত ইফতার মাহফিল ও সাংবাদিক নেতা রুহুল আমিন গাজীর সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
বিএফইউজের একাংশের সভাপতি এম আবদুল্লাহ’র সভাপতিত্বে ও ডিইউজের একাংশের সভাপতি কাদের গনি চৌধুরীর পরিচালনায় এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নেতা এ টি এম মাসুদ। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বিএনপির ভাইসচেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ও বিএনপির ভাইসচেয়ারম্যান শওকত মাহমুদ, বিএফইউজে’র সাবেক মহাসচিব এম এ আজিজ, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি কামালউদ্দিন সবুজ, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান, বিএফইউজে মহাসচিব নুরুল আমিন রোকন, ডিইউজে’র সাবেক সভাপতি কবি আব্দুল হাই শিকদার, ডিইউজে’র সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম প্রমুখ।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘এই গণমাধ্যমকর্মী আইন পাস করা হলে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ফ্যাসিবাদী বাকশাল কায়েম পাকাপোক্ত হবে। এমনিতেই এই সরকারের দুর্নীতি-অপকর্মের বিরুদ্ধে দেশে কেউ কথা বলতে পারে না। লিখতে পারে না।’
তিনি বলেন, ‘আজকে নতুন করে একটা আইন তৈরি করা হচ্ছে- গণমাধ্যমকর্মী সুরক্ষা আইন-২০২২। এটা করার উদ্দেশ্যেই হলো কোনোমতেই যেন বাকস্বাধীনতা, ফ্রিডম অব প্রেস, ডেমোক্রেসি না থাকে, কোনোমতেই যেন সরকারের বিরুদ্ধে কেউ কোনো কথা বলতে পারে না। সংসদে সদস্য যারা আছে তারা লেজুড়বৃত্তি করে। এই আইন পাস হয়ে গেলে আজকে দেশে যে পুরোপুরিভাবে একটা নিয়ন্ত্রণমূলক অবস্থা বিরাজ করছে, সেটা পাকাপোক্ত হবে।’
অনুষ্ঠানে বিএফইউজের পক্ষ থেকে সদ্য কারামুক্ত রুহুল আমিন গাজীকে ক্রেস্ট উপহার দেওয়া হয়।
বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ