শিমুলিয়া ঘাটে সিরিয়ালের নামে অতিরিক্ত টাকা আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে। পাশাপাশি ফেরি সঙ্কটে যাত্রী ও যনবাহন পারাপার ব্যাহত হচ্ছে। অন্যদিকে স্পিডবোটে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ে ঈদে ঘরমুখো দক্ষিণ বঙ্গের ২১ জেলার যাত্রীরা চরম ভোগান্তিতে পড়ার অভিযোগ করেছেন।
মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলার শিমুলিয়া ঘাটে এসব অনিয়মের অভিযোগের মধ্যেই ঈদ উদযাপন করতে বাড়ি ফিরছে লাখ লাখ মানুষ। শিমুলিয়া-বাংলাবাজার-মাঝিরকান্দি নৌরুটে অতিরিক্ত যাত্রী ও যানবাহনের চাপে দেখা দিয়েছে। আর সেই চাপের সুযোগ কাজে লাগিয়ে যানবাহন চালকদের জিম্মি করে অতিরিক্ত টাকার বিনিময়ে সিরিয়াল ভেঙে পরের গাড়ি আগে পার করার অভিযোগ উঠেছে ফেরি কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয় প্রশাসানের বিরুদ্ধে। এছাড়াও লঞ্চ গুলোতেও নেওয়া হচ্ছে অতিরিক্ত যাত্রী।
বর্তমানে এই নৌরুটটিতে ১০ টি ফেরি, ৮৩ টি লঞ্চ ও ১৫৫ টি স্পিডবোর্ডে যাত্রী ও যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে।
স্পিডবোট ঘাটে সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে ঘাট ইজারাদারের লোকজন যাত্রীদের কাছ থেকে জোর করে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছেন। কেউ প্রতিবাদ করলে টিকিট না দিয়ে বকাঝকা করারও অভিযোগ রয়েছে।
বরিশালগামী আবুল হোসেন নামের এক স্পিডবোট যাত্রী বলেন, ‘প্রতি বছর ঈদের সময় অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে পদ্মা পাড়ি দিতে হয়। প্রতিবাদ করলেই হয়রনির শিকার হতে হচ্ছে। ঘাটে যেন সব অনিয়ম নিয়মে পরিণত হয়েছে।’
একই অভিযোগ তুলে মাদারিপুরগামী সাগর হোসেন জানান,‘ফেরি ঘাটে নৈরাজ্য চলছে এসব দেখার যেন কেউ নেই।’
এসব অভিযোগের বিষয়ে স্পিডবোট ঘাট ইজারাদার আশ্রাফ হোসেনের সাথে একাধিকবার মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়, তবে তিনি ফোন ধরেননি।
অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগ পেলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানালেন, মাওয়া নৌ-পুলিশ ফাড়ি ইনচার্জ মোঃ আবু তাহের মিয়া।
টাকার বিনিময়ে সিরিয়াল ভাঙার বিষয়টি মিথ্যা দাবি করে বিআইডাব্লিউটিসির ব্যবস্থাপক (মাওয়া জোন) শফিকুল ইসলাম বলেন, যাত্রী ও যানবাহন ঘাটে এসেই পার হতে চায় ফলে বিশৃঙ্খলা দেখা দিচ্ছে। আমরা বর্তমানে ১০ টি ফেরির মাধ্যমে যানবাহন পারাপার করছি।
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল