ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই বলেছেন, স্বাধীনতার ৫১ বছরেও বাংলাদেশের মানুষ নিরাপত্তাহীনতায় দিন কাটাচ্ছে। যারাই ক্ষমতায় গেছে তারাই জবরদখলের মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় শক্তি ব্যবহার করে দেশের সম্পদ লুটপাট করেছে।
আজ শনিবার, বিকেলে বগুড়ার সুত্রাপুর কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে রাজশাহী বিভাগীয় সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
এসময় তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের জনগণ আজ ভাল নেই। দ্রব্যমূল্য আকাশচুম্বি হওয়ায় দেশের মানুষ আজ দিশেহারা। দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতার জন্য ক্ষমতাসীন সরকারের পদত্যাগ করা উচিত।
তিনি বলেন, শ্বেতপত্র নামক নাটক বানিয়ে ঘাদানিকরা (একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি) দেশের সম্মানিত উলামায়ে কেরাম ও মাদ্রসার বিরুদ্ধে বিষবাষ্প ছড়াচ্ছে। দেশ বিরোধী ঘাদানিকদের শ্বেতপত্র তৈরিতে ইন্ধনদাতাদের চিহ্নিত করে শাস্তির আওতায় আনতে হবে। তা না হলে তাদের দোষররা এ জাতীয় ঘৃণিত কাজ করার আবারও দুঃসাহস দেখাবে।
উত্তরবঙ্গের প্রবীন আলেম আল্লামা আব্দুল হক আজাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত রাজশাহী বিভাগীয় সমাবেশে দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য মাওলানা সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী বলেন, সরকারের দায়িত্বশীলরা স্বীকার করেন যে সর্বত্র দুর্নীতি বিরাজমান। কাজেই আওয়ামী লীগ বা বিএনপি দিয়ে দুর্নীতি দমন করা সম্ভব নয়। তাই আগামী জাতীয় নির্বাচনে হাতপাখাকে বিজয়ী করতে দেশপ্রেমিক নাগরিকদেরকে একযোগে কাজ করতে হবে।
দলের মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ বলেন, দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব আজ সংকটাপন্ন, জনগণ তাদের মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত, দুর্নীতিবাজ, লুটেরা এবং তাবেদার শক্তি দেশের মানুষকে জিম্মি করে রেখেছে। এ অবস্থার পরিবর্তনের জন্যে সমাজ ঐক্যদ্ধ হতে হবে। দেশের স্বাধীনতা সুরক্ষা ও জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠায় তীব্র গণজাগরণ সৃষ্টি করতে হবে।
সভাপতির বক্তব্যে মাওলানা আব্দুল হক আজাদ বলেন, দেশের বড় সমস্যা হল দুর্নীতি ও প্রতিহিংসার রাজনীতি। দুর্নীতি ও প্রতিহিংসার রাজনীতি মুক্ত করতে ইসলামী অনুশাসন প্রতিষ্ঠার বিকল্প নাই। কাজেই দেশ ও জাতির স্বার্থে ঐক্যবদ্ধ হয়ে দেশ গঠনে ভূমিকা পালন করতে হবে।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ