ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৮ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

গরিবদের বিনামূল্যে আইনি সহায়তা দিতে স্পিকারের আহ্বান
অনলাইন ডেস্ক
বক্তব্য দিচ্ছেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী

প্রান্তিক পর্যায়ের গরিব-অস্বচ্ছল জনগণকে বিনামূল্যে আইনি সহায়তা দিতে আইনজীবীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।

আজ শুক্রবার রাজধানীর একটি হোটেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলএল.এম ল’ইয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন (ডুলা) আয়োজিত নবনির্বাচিত কার্যকরী কমিটির ‘অভিষেক ও ঈদ পুনর্মিলনী- ২০২৩’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ আহ্বান জানান।

স্পিকার বলেন, প্রতিথযশা ও খ্যাতনামা আইনজীবীরা ডুলার সদস্য। বিচারকার্যে গতিশীলতা আনয়ন, গণতন্ত্র ও সুশাসন এবং শোষণ ও বৈষম্যমুক্ত স্মার্ট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় ডুলা কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে। প্রান্তিক পর্যায়ের গরীব ও অস্বচ্ছল জনগণকে বিনামূল্যে আইন সহায়তা, অস্বচ্ছল শিক্ষার্থীদের শিক্ষা বৃত্তি প্রদান, নবাগত আইনজীবীদের বিষয়ভিত্তিক প্রশিক্ষণ, জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে সভা-সেমিনার করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন স্পিকার।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলএল.এম ল’ইয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন (ডুলা) আইনজীবীদের গভীর মেলবন্ধনের সুযোগ করে দিয়েছে। ডুলাকে মেধাবী আইনজীবীদের অনন্য সংগঠন উল্লেখ করে তিনি বলেন, এটি প্রতিষ্ঠার পর থেকে আইন অঙ্গনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে।

স্পিকার বক্তব্যের শুরুতে ডুলার ৮ম কার্যকরী কমিটির নির্বাচিত সকল নেতৃবৃন্দকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান। এসময় তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের জীবনের স্মৃতিচারণ করেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশের অ্যাটর্নি জেনারেল আবু মোহাম্মদ আমিন উদ্দিন, জাতীয় সংসদের সাবেক স্পিকার ব্যারিস্টার মুহাম্মদ জমির উদ্দিন সরকার এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের চেয়ারম্যান ড. মো. নজরুল ইসলাম।

ডুলার সভাপতি শেখ আলী আহমেদ খোকনের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক কাজী মুহাম্মদ জয়নাল আবেদীনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন ‘অভিষেক ও ঈদ পুনর্মিলনী- ২০২৩’ এর আহ্বায়ক ড. মো. শাহজাহান সাজু।

এছাড়া বক্তব্য রাখেন আইন সমিতির সভাপতি মঞ্জুর মুহাম্মদ শাহনেওয়াজ, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি এম ওয়াহিদুজ্জামান চাঁন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলএল.এম ল’ইয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি এ কে এম ফায়েজ এবং সুপ্রীম কোর্টে সিনিয়র আইনজীবী সুব্রত চৌধুরী।

স্পিকার বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আইন বিভাগের ছাত্র। আইন বিভাগ থেকে শিক্ষার্থীরা ডিগ্রি সম্পন্ন করে আইনজীবী, চাকুরী, রাজনীতিসহ সকল ক্ষেত্রে কাজ করে যাচ্ছেন। আইন বিভাগ অপার সম্ভাবনার নবদ্বার উন্মোচন করে দেয় বলে তিনি উল্লেখ করেন।

তিনি বলেন, কোভিড-১৯ অতিমারীর সময়ে ভার্চুয়াল আদালত প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে- যা সর্বমহলে প্রশংসিত হয়েছে। এসময় তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে সকল আইনজীবীদের একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান।

অনুষ্ঠানে দেশবরেণ্য বিজ্ঞ বিচারপতি ও বিজ্ঞ আইনজীবীরা উপস্থিত ছিলেন।

বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ



এই পাতার আরো খবর