ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৩ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

‘তফসিল ঘোষণা করলে মানুষ আপনাদের অভিশাপ দেবে’
অনলাইন ডেস্ক
ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন (ফাইল ছবি)

নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) তফসিল ঘোষণা না করে পদত্যাগের আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন। বিএনপিপন্থী এ আইনজীবী ইসিকে উদ্দেশ্য করে বলেন, আমি নির্বাচন কমিশনকে অনুরোধ করবো, আপনারা পারবেন না। তফসিল ঘোষণা থেকে বিরত থাকুন, নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করুন। তফসিল ঘোষণা করলে মানুষ আপনাদের অভিশাপ দেবে।

রবিবার সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে এসব কথা বলেন তিনি। 

সংবিধানের কথা উল্লেখ করে ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, সংবিধানে বলা আছে, নির্বাচনের সময় সরকারের নির্বাহী বিভাগ নির্বাচন কমিশনের সহায়তা করবে। আমরা জানি- ডিসি একটি জেলায় সরকারের প্রতিনিধিত্ব করে এবং ইউএনও উপজেলা পর্যায়ে। সেই সরকারের প্রতিনিধিদের দিয়েই যদি রিটার্নিং অফিসারের কাজ করানো হয়, তবে সংবিধানের ১২৬ অনুচ্ছেদ পুরোপুরি লঙ্ঘন করে। 

নির্বাচন কমিশন সম্পর্কে মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, তাদের ক্ষমতা নেই সুষ্ঠু নির্বাচন করার। তারাই বলছেন নির্বাহী বিভাগ যদি সহায়তা না করে তবে নির্বাচন হবে না। আমরা ঢাকা ১১ এবং চট্টগ্রাম নির্বাচন দেখেছি। সেখানে মোট ১১ শতাংশ ভোট পড়েছে। সেখানেও আবার একজন প্রার্থীকে মারপিট করেছে ভোটকেন্দ্রে সিল মারার প্রতিবাদ করায়। আওয়ামী লীগের দাবি করে তাদের মোট ৩৫ শতাংশ ভোটার আছে। সেখানে ভোট পড়েছে ১১ শতাংশ। এর মধ্যে তাদের ভোট পড়েছে ৭-৮ শতাংশ। সব নেতারা বলেছে, সংসদের শেষ পর্যায়ে বলে ভোটার উপস্থিতি কম ছিলো। 

মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, সম্প্রতি এতো আন্দোলন, এত ট্রেনিং - এর মধ্যেও ভোলা ও লক্ষ্মীপুরের নির্বাচন হয়ে গেল। সেখানে কি হয়েছে সেটা পুরো জাতি দেখেছে। ৫৭ সেকেন্ডে ৪৩টি সিল মারার ভিডিও। ভোলাতেও এমনই হয়েছে। সুতরাং আমরা বলতে পারি যে এই সরকারের নির্বাহী বিভাগ নির্বাচন কমিশনকে সাহায্য করবে না। এটি নিশ্চিত। 

তিনি আরও বলেন, আমি নির্বাচন কমিশনকে অনুরোধ করবো, আপনারা পারবেন না। তফসিল ঘোষণা থেকে বিরত থাকুন, নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করুন। তফসিল ঘোষণা করলে মানুষ আপনাদের অভিশাপ দিবে।

নির্বাচন কমিশনারের কাছে প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, একজন নির্বাচন কমিশনার বলেছেন ১ শতাংশ ভোট হলেও চলবে। কিন্তু সংবিধানে বলা হয়েছে জনগণই সকল ক্ষমতার উৎস। জনগণকে ভোট দিতে হবে। কিন্তু ভোটারদের নিরাপত্তা কোথায়। 

বিডি প্রতিদিন/আরাফাত



এই পাতার আরো খবর