আবহওয়ার এক পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, চলমান টানা কনকনে শৈত্যপ্রবাহের বিস্তৃতি আজ মঙ্গলবার কমে আসতে পারে। দেশের বেশির ভাগ জেলার তাপমাত্রার উন্নতি হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে। ঘন কুয়াশা কেটে রোদের আলোকচ্ছটা মিলবে। পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের আকাশে মেঘের আনাগোনা বাড়ার সম্ভাবনাও রয়েছে।
অধিদপ্তর আরও জানিয়েছে, আজ থেকে আগামী দুই-তিন দিন বৃষ্টিপাতের আশঙ্কা রয়েছে। আজ ফরিদপুর অঞ্চল এবং খুলনা বিভাগের দুই-এক জায়গায় বৃষ্টি বা গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হতে পারে। সারা দেশে রাতের তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়তে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। তবে আগামীকাল বুধবার খুলনা, ঢাকা, ময়মনসিংহ এবং সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রাজশাহী, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দুই-এক জায়গায় বৃষ্টি হতে পারে। এ সময় দিনের তাপমাত্রা কমে রাতের তাপমাত্রা বাড়তে পারে। বৃষ্টি শেষ হয়ে গেলে রাতের তাপমাত্রা কমবে দিনের বাড়তে পারে। আগামী কয়েক দিন সার্বিক তাপমাত্রা ক্রমেই কমবে। তবে আগামী সপ্তাহের মাঝামাঝি সময়ে বিভিন্ন অঞ্চল থেকে শৈত্যপ্রবাহ ক্রমে দূর হতে পারে।
আবহাওয়াবিদ তরিফুল নেওয়াজ গণমাধ্যমকে বলেন, এলাকা ভেদে নির্ভর করছে শীত কতদিন থাকবে। ঢাকার দিকে তাপমাত্রা বাড়লেও উত্তরের দিকে খুব একটা বাড়েনি। স্বাভাবিকভাবে ঢাকায় ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত শীত থাকে। উত্তরের দিকে হয়তো আর কিছুটা বেশি থাকবে। কিন্তু তাপমাত্রা বাড়বে।
আবহাওয়া ও জলবায়ু গবেষক মোস্তফা কামাল পলাশ গণমাধ্যমকে জানান, আজ মঙ্গলবার মধ্যরাতের পর থেকে সকালের মধ্যে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ থেকে বৃষ্টিপাত বাংলাদেশের খুলনা বিভাগের প্রবেশের আশঙ্কা রয়েছে। এই বৃষ্টি খুলনা, বরিশাল ও ঢাকা বিভাগের পদ্মা নদীর পশ্চিম পাশের জেলাগুলোর ওপর দিয়ে অতিক্রম করে চট্টগ্রাম বিভাগ দিকে অগ্রসর হতে পারে। আজ মঙ্গলবার সকালে শৈত্যপ্রবাহ হ্রাস পেতে পারে।
বিডি-প্রতিদিন/শফিক