ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৩ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

মহাত্মা গান্ধী আন্তর্জাতিক শান্তি পুরস্কার পেলেন অধ্যাপক মোস্তাফিজুল হক
অনলাইন ডেস্ক
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি বিকালে কলকাতায় এক আনুষ্ঠানে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের সাবেক মন্ত্রী ও এমপি রেখা গোস্বামীর হাত থেকে এই অ্যাওয়ার্ড গ্রহণ করেন অধ্যাপক মোস্তাফিজুল হক

মহাত্মা গান্ধী আন্তর্জাতিক শান্তি পুরস্কার-২০২৩ পেলেন বাংলাদেশের বরেণ্য চিত্রশিল্পী বিশিষ্ট শিশু চিত্রাঙ্কন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক মোস্তাফিজুল হক।

চিত্র শিল্পে অনবদ্য ভূমিকা, বিশেষ করে চিত্রাঙ্কনে শিশুদের আগ্রহ তৈরি ও তাদের সৃজনশীল মনোবিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি এই পুরস্কার পেয়েছেন।

গত ২৪ ফেব্রুয়ারি বিকালে কলকাতায় রথীন্দ্র মঞ্চ, জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়িতে ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী উৎসবে আয়োজিত এক বর্ণাঢ্য আনুষ্ঠানে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের সাবেক মন্ত্রী ও এমপি রেখা গোস্বামীর হাত থেকে তিনি এই অ্যাওয়ার্ড গ্রহণ করেন।

অ্যাওয়ার্ড অর্জনের প্রতিক্রিয়ায় শিল্পী অধ্যাপক মোস্তাফিজুল হক উদ্যোগটির প্রশংসা করেন। তিনি একে দুই বাংলার শিল্প-সংস্কৃতির অটুট সেতুবন্ধন বলে উল্লেখ করেন। তিনি আয়োজক ‘ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী সোসাইটি ও এশিয়ান বিজনেস পার্টনারশিপ সামিট’কে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন।

অধ্যাপক মোস্তাফিজুল হক বলেন, দিনশেষে রং পেনসিল হাতে শিশুদের আর্ট শেখানোর মাধ্যমেই প্রকৃত সৃষ্টির আনন্দ খুঁজে পাই আমি। এই স্বীকৃতি তার মেধা ও কাজকে আরো শানিত তথা ত্বরান্বিত করবে বলেও তিনি মনে করেন।

অধ্যাপক মোস্তাফিজুল হক বাংলাদেশের বিশিষ্ট শিশু চিত্রাঙ্কন বিশেষজ্ঞ। বরেণ্য এই শিল্পী ১৯৭৫ থেকে প্রায় অর্ধশতক ধরে বাংলাদেশের কোমলমতি শিশুদের সৃজনশীল ও মানবিক নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার জন্য নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন। শিশুদের মানবিক ও সৃজনশীলতা বিকাশের লক্ষ্যে তিনি প্রতিষ্ঠা করেন শিশুদের মনস্তাত্ত্বিক গবেষণা কেন্দ্র ‘সেন্টার ফর চাইন্ড ক্রিয়েটিভিটি, আজিমপুর লেডিস ক্লাব চিত্রাঙ্কন বিভাগ, বাংলাদেশ শিশু একাডেমির চিত্রাঙ্কন বিভাগ, প্রভাতি আর্ট স্কুল, শান্ত-মারিয়াম একাডেমি এবং মোস্তাফিজ একাডেমি অব ফাইন আর্টস (মাফা)। শান্ত-মারিয়াম ইউনিভার্সিটি অব ক্রিয়েটিভ টেকনোলজির বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান হিসেবে কর্মমুখী সাংস্কৃতিক তথা সৃজনশীল উচ্চশিক্ষা প্রদানেও তিনি কাজ করে চলেছেন।

শিশুদের আর্ট শেখানোসহ দেশ-বিদেশে বিভিন্ন চিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন তার শখ তথা নেশা। করোনার মহাদুর্যোগেও ভার্চুয়াল চিত্র প্রদর্শনী করে প্রশংসিত হন তিনি। দেশে ও বিদেশে অসংখ্য কর্মশালা ও সেমিনারে অংশগ্রহণসহ একক ও যৌথ বিভিন্ন আর্ট এক্সিবিশনে অংশগ্রহণ করেন তিনি।

২০১০ সালে ‘রেট্রোসপেকটিভ’ শিরোনামে তার একটি একক চিত্রকলা প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেছিলেন ভারতীয় প্রখ্যাত অভিনেত্রী মনীষা কৈরালা। তিনি অসংখ্য দেশি ও বিদেশি পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। তার আঁকা ছবি বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি, জাপানের জুও-মাচি আর্ট মিউজিয়াম এবং অনেক শিল্পানুরাগীর সংগ্রহশালায় সংরক্ষিত আছে।

তৎকালীন ঢাকা আর্ট কলেজ (বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ) থেকে বিএফএ ও এমএফএ সম্পন্ন করেন এই শিল্পী। ৯০-এর দশকে জাপান সরকারের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের (মনবুশো) বৃত্তি নিয়ে সেখানে চার বছর লেখাপড়া করেন তিনি। ফিরে এসে ১৯৯৫ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদে ড্রইং অ্যান্ড পেইন্টিং বিভাগে শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন মোস্তাফিজুল হক।

 



এই পাতার আরো খবর