ঢাকা, সোমবার, ২২ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

পর্যটক বরণে প্রস্তুত কুয়াকাটা
কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি

পর্যটক বরণে প্রস্তুত হচ্ছে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের বেলাভূমি সাগরকন্যা কুয়াকাটা। ঈদ-পরবর্তী পাঁচদিনের সরকারি ছুটিতে আবাসিক হোটেল-মোটেলগুলোকে বাহারি সাজে সাজানো হচ্ছে। পর্যটন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোতে স্থান পাচ্ছে নানাবিধ নতুন নতুন বাহারি পণ্য। সৈকতের ছাতা-বেঞ্চে লেগেছে নতুনত্বের ছোঁয়া। প্রকৃতি যেন হাতছানি দিয়ে ডাকছে পর্যটকদের। 

ইতিমধ্যে অধিকাংশ হোটেল-মোটেলে আগাম বুকিং শুরু হয়ে গেছে। পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা বলছেন, ঈদের ছুটিতে লাখো পর্যটকদের আগমন ঘটবে। তাই পর্যটকদের নিরাপত্তায় সার্বিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। লেম্বুরবন থেকে রামনাবাদ চ্যানেল পর্যন্ত বিচ্ছিন্নভাবে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকবে ট্যুরিস্ট পুলিশের নৌ-পুলিশ, থানা পুলিশ, স্কাউটস সদস্যরা।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ঝাউবন, শুঁটকিপল্লী, লেম্বুরবন, কুয়াকাটা জাতীয় উদ্যানসহ দর্শনীয় স্পটগুলো পরিপাটি করা হয়েছে। সৈকত দীর্ঘদিন ফাঁকা, পুরো এলাকা ঝকঝক করা হয়েছে। বর্ষার শুরুতে সৈকতে উঁচু ঢেউ, জেলেদের মাছ ধরার দৃশ্য নজর কাড়বে আগত পর্যটকদের।

ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব কুয়াকাটার (টোয়াক) সেক্রেটারি জহিরুল ইসলাম বলেন, পর্যটক না থাকায় হোটেল বন্ধ ছিল। তবে ঈদের ছুটিতে পর্যটকদের ব্যাপক চাপ থকবে। তাই আগে ভাগেই হোটেল-মোটেলগুলোর সার্বিক কাজ সেরে নিচ্ছে মালিকরা।

কুয়াকাটা সৈকত ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য সচিব ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম বলেন, ঈদের ছুটিতে বাড়তি পর্যটক আগমনের সম্ভাবনা মাথায় রেখে সার্বিক প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। পর্যটক ও দর্শনার্থীদের নিরাপত্তায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিয়মিত তৎপরতার পাশাপাশি তিনজন অতিরিক্ত ম্যাজিস্ট্রেট, স্কাউটের স্বেচ্ছাসেবক ও সৈকতে রেসকিউ টিম প্রস্তুত থাকবে। বাড়তি ভাড়া আদায় প্রতিরোধ ও হয়রানি বন্ধে নজরদারি করা হবে।

বিডি প্রতিদিন/এমআই



এই পাতার আরো খবর