ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৮ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

ঢাকায় মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু
অনলাইন প্রতিবেদক

দুই দিনের সফরে ঢাকায় এসেছেন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু। 

মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কলম্বো থেকে ঢাকায় আসেন তিনি। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উত্তর আমেরিকা অনুবিভাগের মহাপরিচালক খন্দকার মাসুদুল আলম। 

ডোনাল্ড লু’র সফরের কথা ঘোষণা হতেই রাজনৈতিক মহলে আলোচনা শুরু হয়- কী বার্তা নিয়ে আসছেন তিনি।

জানা গেছে, ভারত, শ্রীলঙ্কা সফরের পর বাংলাদেশ সফরে আসলেন ডোনাল্ড লু। তার এ সফরের মধ্য দিয়ে দেশগুলোর সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদার হবে বলে প্রত্যাশা ওয়াশিংটনের। মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে- যুক্তরাষ্ট্র যে মুক্ত, অবাধ ও সমৃদ্ধ ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল দেখতে চায়, ডোনাল্ড লু’র সফরে সেটাই গুরুত্ব পাবে। ঢাকা সফরে দুই দেশের সহযোগিতার সম্পর্ক ছাড়াও জলবায়ু সংকট ও দ্বিপক্ষীয় অর্থনৈতিক সম্পর্ক আরও জোরদার করা নিয়ে আলোচনা করবেন ডোনাল্ড লু। 

সফরসূচি অনুসারে, ডোনাল্ড লু ঢাকা সফরে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনের সঙ্গে বৈঠক করবেন। এর পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান ও অন্য দুই মন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন। এছাড়া লু’র নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময়ের কথা রয়েছে।

ঢাকার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন শীর্ষ ব্যক্তি জানিয়েছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক অত্যন্ত চমৎকার। প্রধানমন্ত্রী চতুর্থবার নির্বাচিত হওয়ার পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট চিঠি লিখে সম্পর্ক এগিয়ে যাওয়ার বা নতুন উচ্চতায় নেওয়ার অভিপ্রায় ব্যক্ত করেছেন। মার্কিন প্রশাসন থেকে যারাই বাংলাদেশে সফর করুক না কেন, আমাদের সম্পর্ককে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে আমরা কাজ করব একসঙ্গে। সেখানে অর্থনৈতিক সম্পর্ক আছে, আমাদের নানা ক্ষেত্রে সহযোগিতা আছে। এছাড়া র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) ওপর নিষেধাজ্ঞা এবং বাংলাদেশের জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ঘোষিত ভিসানীতি ঢাকা-ওয়াশিংটনের সম্পর্কে কিছুটা দূরত্ব তৈরি করেছে। সেগুলো (র‌্যাবের নিষেধাজ্ঞা ও ভিসানীতি) যাতে সহজ করা হয় বা উঠে যায় সেগুলো নিয়ে মার্কিন প্রশাসনে এর আগে হোয়াইট হাউস এবং স্টেট ডিপার্টমেন্টে এসব আলোচনা করেছি। সেই প্রসঙ্গগুলো স্বাভাবিকভাবে আসতেই পারে। আমাদের সম্পর্ক এগিয়ে নেওয়ার লক্ষ্যে উভয় দেশ কাজ করছি।

প্রসঙ্গত, দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পাওয়ার পর চারবার বাংলাদেশ সফর করেছেন লু। গত বছরের জুলাইতে তিনি সর্বশেষ বাংলাদেশ সফর করেন। বাংলাদেশের গত জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে ডোনাল্ড লু’র বক্তব্য-বিবৃতি দেশের রাজনৈতিক মহলে তার বিষয়ে বিশেষ আগ্রহ তৈরি করে।

বিডি প্রতিদিন/একেএ



এই পাতার আরো খবর