প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বলেছেন, বিচার বিভাগীয় পরিকল্পনার একটি উল্লেখযোগ্য স্থান দখল করে আছে দেশের আদালতগুলোর ভৌত অবকাঠামোর সংস্কার, সংরক্ষণ এবং উন্নয়ন। আজ বাংলাদেশের শীর্ষ আদালত তথা প্রধান বিচারপতির এজলাস কক্ষ সু-সজ্জিত হয়ে উঠেছে। আমি বিশ্বাস করি এই আয়োজন নতুন দিনের সূচনা মাত্র। এর মধ্যদিয়ে বাংলাদেশের অধস্তন আদালতের ভৌত অবকাঠামোর উন্নয়ন নতুন করে প্রাণ পাবে।
সোমবার সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে প্রধান বিচারপতির বিচার কক্ষ আধুনকিায়ন করে উদ্বোধনের পর পুনরায় বিচারিক কার্যক্রম সূচনা উপলক্ষে আয়োজিত এক বিশেষ অধিবেশনে নিজের বক্তব্যে এসব কথা বলেন প্রধান বিচারপতি।
এ সময় প্রধান বিচারপতির বিচার কক্ষে পাঁচজন সাবেক প্রধান বিচারপতি, সুপ্রিম কোর্টের সাবেক বিচারপতি, আইনজীবীসহ সুপ্রিম রেজিস্ট্রির কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া সুপ্রিম কোর্টের আপিল ও হাই কোর্ট বিভাগের বিচারপতিরাও এ সময় এজলাসে উপস্থিত ছিলেন।
পাঁচজন সাবেক প্রধান বিচারপতি হলেন বিচারপতি সৈয়দ জে আর মোদাচ্ছির হোসেন, বিচারপতি মো. রুহুল আমিন, বিচারপতি মো. তাফাজ্জাল ইসলাম, বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন ও বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী।
তিনি বলেন, তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে ভার্চুয়াল কোর্টের মাধ্যমে বিচারকার্য পরিচালনা করতে এ আদালত এখন সম্পূর্ণ সক্ষম।
তিনি বলেন, প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নেওয়ার পরপরই আমি বিচার বিভাগের জন্য একটি দীর্ঘ মেয়াদি পরিকল্পনা প্রণয়নের ঘোষণা দিয়েছলাম। সেই লক্ষ্যে ইতিমধ্যে ঢাকার অধস্তন আদালতে কর্মরত বিচারকবৃন্দ, অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয়ের বিজ্ঞ আইন কর্মকর্তাবৃন্দ এবং আইনজীবীদের সাথে মতবিনিময় করেছি। নানান উদ্যোগে সেই পরিকল্পনা প্রণয়নের কাজ এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশের অধস্তন আদালতে স্বচ্ছন্দ বিচার প্রক্রিয়া পরিচালনার স্বার্থে সকল স্থাপনাগুলোর আধুনিকায়ন এবং উন্নয়নের জন্য প্রধানমন্ত্রীর সুবিবেচনা এবং সু-দৃষ্টি কামনা করেন প্রধান বিচারপতি।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত