ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৬ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে নেওয়ার আহ্বান জানালেন ২০১৮-এর আন্দোলনকারী নেতারা
অনলাইন ডেস্ক
আজ সোমবার রাজধানীর বিজয়নগরে গণঅধিকার পরিষদের অস্থায়ী কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এ দাবি জানান কোটা সংস্কার আন্দোলন-২০১৮-এর অন্যতম সংগঠক মো. রাশেদ খান। সংগৃহীত ছবি

কোটা সংস্কার আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের দাবির যৌক্তিকতা মেনে নিতে সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছেন কোটা সংস্কার আন্দোলন-২০১৮-এর নেতারা। একই সঙ্গে চলমান আন্দোলনে যুক্ত শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে শাহবাগ থানায় করা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান তারা।

আজ সোমবার রাজধানীর বিজয়নগরে গণঅধিকার পরিষদের অস্থায়ী কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এ দাবি জানান কোটা সংস্কার আন্দোলন-২০১৮-এর অন্যতম সংগঠক মো. রাশেদ খান।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন কোটা সংস্কার আন্দোলন-২০১৮-এর সংগঠক শাকিল উজ্জামান, শহিদুল ইসলাম, আবদুজ জাহের, শহিদুল ইসলাম, কাওসার আলী প্রমুখ।

মো. রাশেদ খান বলেন, ‘২০১৮ সালে আমরা কোটা বাতিল নয়, বরং কোটার সংস্কার চেয়েছিলাম। তখন ২ জুলাই সরকার তৎকালীন মন্ত্রিপরিষদ সচিবের নেতৃত্বে ৭ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছিল। কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে নবম থেকে ১৩তম গ্রেডে কোটা বাতিল করে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেয় সরকার।’

তিনি বলেন, ‘এখন কোটা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের চলমান আন্দোলনকে বিতর্কিত করতে নানামুখী ষড়যন্ত্র চলছে। ২০১৮ সালে যারা কোটা সংস্কার আন্দোলন করেছেন, তারাই পরবর্তী সময়ে মেধা ও যোগ্যতায় চাকরি পেয়েছেন। যারা সংগঠক পর্যায়ে ছিলেন, তাদের নামে মোট ৬টি মামলা দেওয়া হয়। যে মামলাগুলোতে তাদের এখনো হাজিরা দিতে হচ্ছে, কোনো কোনো মামলায় অভিযোগপত্র দেওয়া হয়, সেগুলোর বিচার শুরু হয়েছে। বাংলাদেশে যেখানে পুলিশ ভেরিফিকেশনের (যাচাইকরণ) নামে হয়রানি করা হয়, সেখানে কোটা সংস্কার আন্দোলনের সংগঠকদের চাকরি পাওয়ার কোনো সুযোগ রাখা হয়েছে?’

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ‘২০১৮ সালে যারা আন্দোলন করেছেন, এখন (২০২৪) যারা আন্দোলন করছেন, তাদের কারও মুক্তিযুদ্ধ বা মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি ক্ষোভ নেই; বরং সরকার তার নিজের সুবিধার জন্য বৈষম্য সৃষ্টি করেছে।’

বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ 



এই পাতার আরো খবর