ঢাকা, শনিবার, ২৭ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

মা মইরা যাওয়ার পর একটা আস্ত আম খাই নাই
অনলাইন ডেস্ক

‘মা মইরা যাওয়ার পর আর কেউ আদর করে একটা আস্ত আম খাইতে দেয় নাই। এতিম মানুষরে কে খাওয়াইবো? একসাথে আম-কাঁঠাল খাই না অনেক দিন’—কথাগুলো বলতে বলতে সাইদুলের দুচোখ বেয়ে অশ্রুর ফোয়ারা বইছিল। চুপ করে নিচু হয়ে গেলেন উপস্থিত বসুন্ধরা শুভসংঘ বন্ধুরা। তাঁদের চোখের কোণেও ততক্ষণে অশ্রুবিন্দু।

সাইদুলের মতো ৭২ জন এতিম ও হাফিজিয়া মাদরাসা ছাত্রকে নিয়ে ফল উৎসবের আয়োজন করেছিল বসুন্ধরা শুভসংঘ গলাচিপা উপজেলা শাখা। সেখানেই এত ফল দেখে কথা বলতে বলতে কেঁদে ফেলে সাইদুল। তার ব্যথা ছুয়ে যায় সব বন্ধুর মনে। তার পরও সব শেষে সবার চোখে আনন্দ।

কারণ একসঙ্গে এত ফল এই এতিম শিশুরা হয়তো দেখেনি কখনো। আজ বসুন্ধরা শুভসংঘ সদস্যরা তাদের জন্য এত ফল এনেছে দেখে খুবই খুশি ছিল প্রত্যেক শিশু। এই শিশুদের নিয়ে মৌসুমি ফল উৎসব করতে পেরে আনন্দে মেতে ওঠেন বসুন্ধরা শুভসংঘ সদস্যরাও।

সম্প্রতি গলাচিপার কাটাখালী বাজার কেরামতিয়া আহসাফিয়া নূরানিয়া হাফিজিয়া মাদরাসার এতিম অসহায় দরিদ্র পরিবারের শিশুদের নিয়ে এই মৌসুমি ফল উৎসবের আয়োজন সম্পন্ন হয়।

প্রতিষ্ঠানটির প্রধান মাওলানা আবুল হান্নান বলেন, ‘বসুন্ধরা গ্রুপের সহায়তায় বসুন্ধরা শুভসংঘ প্রত্যন্ত অঞ্চলের এই এতিম অসহায় শিশুদের নিয়ে যে আয়োজন করেছে তাতে আমরা খুব খুশি হয়েছি। মন থেকে দোয়া করি, আল্লাহপাক যেন বসুন্ধরা গ্রুপের মালিকদের নেক হায়াত দান করেন। এই এতিম দরিদ্র পরিবারের শিশুরাও তাঁদের জন্য দোয়া করেছে।’

পুরো আয়োজনটি সফলভাবে সম্পন্ন করতে কাজ করেছেন মোস্তাফিজুর রহমান শাকিল খান, রেদওয়ান তালাল, কাওসার আলম, মাজহারুল ইসলাম মলি, আবির মাহমুদ বাপ্পি, শুভ মিয়া, নাইমুল ইসলাম নাঈম, ছব্বির মুন্সি ও আরিফ হোসেন।



এই পাতার আরো খবর