ধর্মমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান বলেছেন, ‘কোটা সংস্কার আন্দোলনে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আমাদের পুলিশ বাহিনী। আজকে পুলিশ বাহিনীর অনেক সদস্য হাসপাতালে কাঁতরাচ্ছেন। পুলিশের অনেক সদস্যকে মেরে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে।’
আজ শনিবার রাজধানীতে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ ইউনাইটেড ইসলামী পার্টির উদ্যোগে আয়োজিত এক মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন।
ধর্মমন্ত্রী বলেন, ‘ছাত্ররা কোটা সংস্কারের নামে যে আন্দোলন করেছে সে আন্দোলনকে আমরা সমর্থন করি। ছাত্ররা যা করেছে ঠিক করেছে এবং প্রধানমন্ত্রী ছাত্রদের কথা রেখেছেন। ছাত্রদের আন্দোলনে সুযোগ নিয়ে বিএনপি-জামায়াত ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে চেয়েছিল।’
তিনি আরও বলেন, ‘আজকে মেট্রোরেলের মাধ্যমে মানুষ খুব অল্প সময়ের মধ্যে আসা-যাওয়া করতে পারতো, এখন সে মেট্রোরেলে হামলা চালানো হয়েছে। এখন সাধারণ জনগণ যাতায়াত করতে কষ্ট পাচ্ছেন। বাংলাদেশকে অচল করে দেওয়ার জন্য দেশের প্রত্যেকটা গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় তারা (বিএনপি-জামায়াত) হামলা করেছে। ক্ষয়ক্ষতি করার চিন্তা যারা করে ইসলাম তাদের কখনো সমর্থন করে না। যারা দেশজুড়ে এ ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে তাদের আইনের আওতায় এনে শাস্তির ব্যবস্থা করা হোক।’
এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। বাংলাদেশ ইউনাইটেড ইসলামি পার্টির চেয়ারম্যান মাওলানা মো. ইসমাইল হোসাইনের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন দলের মহাসচিব মাওলানা শাহাদাত হোসাইন, মাওলানা মোস্তফা চৌধুরী, মুফতি আব্দুল্লাহ, হাফেজ মাওলানা আব্দুল্লাহ, লক্ষ্মীপুরের পীর খাজা হারুনুর রশিদ মিরনসহ অনেকে।
বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ