ঢাকা, শুক্রবার, ৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

৬ সমন্বয়কারী তো নিরাপত্তার কথা তুলেনি, তাদের আটকে রাখা হয়েছে কেন: প্রশ্ন হাইকোর্টের
অনলাইন ডেস্ক

আন্দোলনরত বিক্ষোভকারীদের ওপর সরাসরি গুলি ব্যবহার না করা এবং নিরাপত্তার নামে হেফাজতে নেওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৬ সমন্বয়কদের দ্রুত মুক্তির নির্দেশনা চাওয়া রিটের শুনানি ঘিরে দুপক্ষের আইনজীবীদের উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ে এজলাসে হট্টগোল হয়।

মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি এস এম মাসুদ হোসেন দোলনের হাইকোর্ট বেঞ্চে শুনানি চলাকালে দুপক্ষের আইনজীবীদের মধ্যে এ হট্টগোল হয়।

এ সময় হাইকোর্ট প্রশ্ন করে বলেন, কোটা আন্দোলনের আটকে রাখা ৬ সমন্বয়কারী তো নিরাপত্তার কথা তুলেনি, তাদের আটকে রাখা হয়েছে কেন? এটা তো প্রসেসে পারে না। হয় তাদের গ্রেফতার করতে হবে, না হয় ছেড়ে দিতে হবে।

শুনানি চলাকালে কোটাবিরোধী আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সহিংসতা ও মানুষের মৃত্যুর ঘটনায় হাইকোর্ট মন্তব্য করে বলেন, গত কদিনের মৃত্যুর ঘটনা দুঃখজনক। কোটাবিরোধী আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সহিংসতা ও মানুষের মৃত্যুর ঘটনায় আমরা লজ্জিত। সংবিধান ও আইনে সব বিষয় লেখা আছে। কিন্তু আমরা কেউই সাংবিধানিক দায়িত্ব পালন করছিনা। পুলিশ কি আচরণ করবে তাতো সিআরপিসিতে পরিস্কার বলা আছে।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার সারা হোসেন, অ্যাডভোকেট জেড আই খান পান পান্না, ব্যারিস্টার অনীক আর হক, অ্যাডভোকেট মানজুর আল মতিন প্রীতম। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এস এম মুনীর, অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মো. মোরসেদ ও অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার মেহেদী হাছান চৌধুরী।

এর আগে গতকাল আন্দোলনকারীদের ওপর গুলি না চালানোর নির্দেশনা ও কোটা বিরোধী আন্দোলনের ৬ জন সমন্বয়কের ডিবি হেফাজত থেকে মুক্তির নির্দেশনা চেয়ে রিট দায়ের করা হয়। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মানজুর আল মতিন প্রীতম ও আইনুন্নাহার সিদ্দিকা লিপি এ রিট দায়ের করেছেন। 

বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন



এই পাতার আরো খবর